খুলনা জেলার ফুলতলা থানার করিমুন্নেছা মডেল স্কুল এর সহকারী শিক্ষক ধনঞ্জয় রায় তিনি শিশুদের প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখছেন তার স্কুলের শিক্ষার্থীরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তখন দ্বিতীয় শ্রেণীর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেন তোমরা যদি বাসায় গিয়ে মোবাইল না ধরে থাকতে পারো তোমাদের আমি পুরস্কার দিব। তখন শিক্ষার্থীরা পুরস্কার নেওয়ার জন্য বাড়িতে মোবাইল দেখা বন্ধ করতে শুরু করে। অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যখনই তিনি নিশ্চিত হন তখন তার ওয়াদা রেখে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে নিজ অর্থে শিক্ষনীয় উপকরণ পুরস্কার দেন। তখন স্কুলের কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সাধুবাদ জানায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই উদ্যোগ এর ধারাবাহিকতায় স্কুলের পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ফুটবল কিনে দিয়েছেন যাতে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং শারীরিক চর্চা হয়।
ছাত্রদের পাশাপাশিও ছাত্রীদের উপযোগী সপ্তম শ্রেণির বালিকাদেরও দাবা, লুডু খেলার সামগ্রী দেন। তার আদর্শ, নিয়মানুবর্তিতা, ক্লাসের দক্ষতা, সুন্দর লেখা, আঁকা, খেলাধুলা পরিচালনাও শিশুদের মন জয় করেন। স্কুলের উন্নতির জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সুলভ ব্যবহারে মন জয় করে নেওয়ার চেষ্টা ধনঞ্জয় বাবুর। স্কুলের পরিচালক মোঃ শিবলী সাদিক স্যার ও তাঁর কাজের মধ্যে প্রাণ ফিরে পান। করিমুন্নেছা মডেল স্কুল এর শিক্ষার্থীদের ভালো পর্যায়ে আনার প্রচেষ্টা করেন সর্বদা তার কর্মের মধ্যে।