গল্পাকার: প্রিয়াংকা নিয়োগী,
কোচবিহার,ভারত
বাস্তব সবকিছু। অর্থাৎ বাস্তবে যা ঘটে তা সবই নিজেকে সামলাতে হয়।তেমনি মিলির জীবনেও তাই।
ছোটো বেলায় দেখেছিলো কাউকে ভর উঠতে।সেই থেকে নিজের মধ্যেও গেঁথে গিয়েছিলো তাঁরও
এমন হতে পারে।তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে কোথাও ভয়ে থাকত।তেমনি ঠাকুরের স্বপ্ন দেখলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতো।আর এই বিষয়গুলো তার কাছে সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার ছিলো।আর হ্যাঁ যতোই মা দুর্গা,মা কালির স্বপ্ন দেখতো না কেন,স্বপ্নকে স্বপ্ন বলেই মানত।আর কখনো মন্দির দেখলে মন কামড়ালে অর্থাৎ ভর ওঠে এইসব বিষয় মনে পড়লে নিজেকে বাস্তবের সাথে মেলাতো।তাইতো বাস্তবে তাকে একাই লড়াই করতে হয়। তখন কোনো ঠাকুর দেবতাকে পাওয়া যায়না।অথচ মানুষ ঠাকুরের স্বপ্ন দেখলেই
পূজো করতে হবে বলে মেনে নেয়। সেখানে মিলি একেবারেই বিপরীত।মিলি শুধুই বাস্তব এবং বাস্তবের
পরিস্থিতি ও লড়াই বোঝে।তাই সব বিষয়ে শক্ত থাকে।
মিলি কলকাতা যাওয়ার সময় মাকালির স্বপ্ন দেখে,
তারসাথে গোপালের স্বপ্ন দেখে।ঘুম ভাঙলে ট্রেন লাইনের পাশের রাস্তায় দেখে মন্দির।আর সেই মন্দিরে কালি ঠাকুর ও শিব ঠাকুর।আবার ট্রেন চলতে শুরু করে।মিলির মা ফোন করে কোথায় তুই।
কথা শেষ হলে মিলি ভাবতে শুরু করে যাই হয়ে যাক,
বাস্তব বাস্তবিক হয়।আর কেউ যদি আসল হয় তিনি বাস্তবের মা।কারণ তার লড়াইয়ে তার পাশে থাকে।
ট্রেন থেকে নেমে দেখে একজন গোপালকে গদিতে নিয়ে ঘুরছে।কিন্তু কোনো গোপাল মিলির কোনো খোঁজ করেনি। খোঁজ শুধু তার মা ই করেছে।