লেখক: আমির হুসাইন রাজবাড়ী
সময়টা ২০২০ সাল
অয়ন নামের ছেলেটা বাঁচতে চায় না,
আত্মহত্যা করবেই কেননা ব্রেকআপ এর যন্ত্রনা মৃত্যুর মতই ভয়ঙ্কর, সুমাইয়ার জন্য অয়ন দুই হাত কেটে রক্তাক্ত অবস্থায়, আমাকে বলে মামা এ জীবন আর রাখবো না। সে আত্মহত্যা করবেই এমন পরিস্থিতি। সেখান থেকে অয়নকে আমি যেভাবেই হোক বাঁচিয়ে তুললাম। সর্বদা আমার সাথে অয়নের সময় কাটতো, কারণ বন্ধুদের আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, কথা দিয়েছিলাম রাজবাড়ীর সুন্দরী রূপসী মেয়ে এনে দেবো। ধীরে ধীরে অয়ন সুস্থ জীবনে ফিরে আসলো। আর অয়নকে সুস্থ জীবনে ফিরে আনতে আমার অনেক বড় ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।
১. বন্ধুত্বের আড্ডা তে সেদিন কাকার গাছের চুরিকৃত আম খেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছিলাম, অমনিতেই রুপনা নামের মেয়েটির এন্ট্রি হয়, আর কমেন্টে আমাকে চোর বললে অয়ন সহ্য করতো না, সাথে সাথে অয়ন ও রুপনার ঝগড়া হয় ইনবক্সে আমার অজান্তেই প্রেম হয়ে ১৪ দিনের রিলেশনে কোর্ট ম্যারেজ।
তারপর থেকে অয়ন আমার সাথে বেশি কথা বলে না হঠাৎ অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
পরে শুনতে পারলাম নতুন প্রেমে পড়েছে, এখন সে সুমাইয়া কে ভুলতে পারবো হয়তো।
অতঃপর অয়ন রূপনার পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়,
অথচ আমি নিজেই জানি না এবং সমস্ত দোষ হয়েছে আমার, আমার সাথে সর্বদা থাকতো বলে তার পিতা মাতা আমাকে সাইলেন্ট কিলার বলে দোষারোপ করল যখন, তখন অয়ন নিরব ছিল, অয়নের নিরব থাকাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি কষ্টকর মনে হয়েছে যা আমি এখনো মানতে পারিনি।
অয়ন একবারও বললো না সব দোষ আমার ওর কোন দোষ নেই।
আর বিয়ের পর থেকে অয়ন আমার সাথে কখনো কথা বলেনি, অথচ আমাদের বাড়ি একসাথেই, সেদিন আমাদের দূরত্ব ছিল ১০ ফুট, ছিলাম বসে চন্দ্রনা নদীর তীরে, তবুও কথা হয়নি আমাদের। এভাবে বন্ধুত্ব হারিয়ে যাবে কল্পনায় ও আসেনি।
অয়ন আত্মহত্যা করতে গেছিল আমি তাকে বাঁচিয়ে তুললাম বিয়েতে আমাকে ইনভাইট করল না, একথা ভাবতে দুচোখে জল এসে ভীড় জমায়, তবুও চাই অয়ন রূপনা চির সুখী হোক, কারণ আসল বন্ধুত্ব চায় না কখনো বন্ধুরা কষ্টে থাকুক।
শোন অয়ন! যদি জানতাম বেইমানি করবি তবে সেদিন তোকে বাঁচিয়ে তুলতাম না, তুই আত্মহত্যা করে জাহান্নামি হতি, কঠিন বিপদে তোর পাশে ছিলাম, আর যখন তোর জীবনের সুখের আগমন হলো, অমনিতেই বেইমানি করলি? ভাবতেই দুচোখে অশ্রু আসে।
(বি:দ্র: গল্পটা 100% সত্য)