নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হক-বাতিলের লড়াইয়ে বিশ্বের ইতিহাসে জামায়াত একটি আদর্শ সংগঠন হিসেবে স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে।সূচনালগ্ন থেকেই দলটি বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছে।নির্যাতিত হয়েছে জামায়াত সমর্থিত সকল নেতা-কর্মীরা।বিশেষ ভাবে স্বাধীনতার পরে ইতিহাসের পাতায় বিগত ১৬ বছর জামায়াতের জন্য এক ভয়াবহ কালো অধ্যায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা হারিয়ে ফেলেছিল বেঁচে থাকার অধিকার। বাংলাদেশের জামায়াতের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আওয়ামি সরকারের দখলে ছিলো। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বিগত ১৬ বছরের জুলুম নির্যাতন-নিপীড়নের পরেও থেমে থাকেনি জামায়াতের দাওয়াতি কাজ। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্যই জামায়াতের এক বিশাল কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল শাহবাগে। গত ২১শে মার্চ (শুক্রবার) শাহবাগে জামায়াত ইসলামের শাহবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে শাহবাগ চত্বরে এক বিশাল ইফতার মাহফিল এবং কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত সমাবেশে সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন শাহবাগ পশ্চিম থানার সম্মানিত আমীর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে সুরার সদস্য এ্যাডঃ শাহ মোঃ মাহফুজুল হক, এবং প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিতিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নাইবে আমীর, ড. হেলাল উদ্দিন, সঞ্চালনায় ছিলেন, শাহবাগ পশ্চিম থানার সম্মানিত সেক্রেটারি, এম. লোকমান হোসেন মোল্লা। উক্ত সমাবেশটি বিকাল ৪ ঘটিকায় অতিথিদের বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ইফতারের মাধ্যমে শেষ হয়।
উক্ত সমাবেশে বিভিন্ন ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। শাহবাগের অতীতের করুন চিত্র ফুটিয়ে তুলে অনেকেই আবেগম বক্তব্যের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বক্তাদের দাবি এই শাহবাগ থেকেই জামায়াত নেতাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।এই শাহবাগে থেকেই বিচারের রায় নির্ধারিত করা হয়েছিল। অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দদেরকে। সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে শাহবাগ পশ্চিম থানার আমীর বলেন, এই দেশকে সোনার দেশে পরিণত করতে হলে সৎ লোকের শাসন প্রয়োজন। সকল অন্যায় অনাচার এবং দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠন করতে হলে কুরআনের আইনেই একমাত্র শাসন ব্যবস্থা। সৎ লোকের শাসন আল কুরআনের আইন ব্যতীত এই দেশকে সোনার দেশে রূপান্তরিত করা সম্ভব নয়। উনি ওনার বক্তব্যে আমি নেতা কর্মীদের স্বার্থের দাবি জানিয়েছেন। উনি বলেছেন শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের দেশে আসতে পারে, অপরাধী হিসেবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্যই দেশে আসবে। এদেশের মাটিতে কোন স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই। কোন স্বৈরাচার পুনর্বাসন করতে দেওয়া যাবে না। দেশ এবং জাতিকে একটি শৃঙ্খলা ভুক্ত দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে উনি ওনার বক্তব্য শেষ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন আজকাল অনেকেই জামায়াতকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। স্বৈরাচার পতনের মূলে ছিল জামায়াত।অতএব জামায়াতের বিরুদ্ধে মন্তব্য না করে ৫ আগস্ট এর মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি পারে একটি সোনার বাংলাদেশ গঠন করতে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কোরআনের আইন অত্যন্ত জরুরি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে উনি ওনার বক্তব্য শেষ করেন। বক্তাদের দাবি হচ্ছে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল শাহবাগে কর্মী সম্মেলন। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। যেই শাহবাগ থেকে জামায়াতকে চিরতরে মুছে দেওয়ার সর্বাত্মক ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই শাহবাগেই জামায়াতের কর্মী সম্মেলন। অথচ যারা সেই ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারা এদেশের মানুষের কাছে অপরাধী।