আব্দুস সামাদ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে লালমনিরহাট জেলা সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) লালমনিরহাট জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার বাদী হয়ে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা সিআইডির মামলায় বলা হয়, লালমনিরহাট জেলার সদর থানার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে হুন্ডি সুমন ওরফে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সুমন খানের (৪৬) এর বিরুদ্ধে আজ ৩১/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ লালমনিরহাট সদর থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারনে সিআইডি, লালমনিরহাট ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং-৬১। তার অবৈধ সম্পদ, ব্যাংক, হোটেল, দালান এবং অন্যান্য ব্যবসাসহ চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ ও মুদ্রা পাচার ইত্যাদির বিষয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে প্রেডিকেট অপরাধের বিষয়ে মামলা করেন সিআইডি লালমনিরহাট জেলার এএসপি মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার।
মামলায় আরও বলা হয়, হুন্ডি সুমন খানের ব্যাংকে জমা ২৩৭,৪৯,৪৮,৭৬০/- (দুইশত সাইত্রিশ কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ আটচল্লিশ হাজার সাতশত ষাট) টাকা, সুমন খানের স্ত্রী মোছাঃ নাহিদা অক্তার রুমা (৪৩) এর ব্যাংক একাউন্টে ৪,৩৯,৩৫,৩১০/-(চার কোটি উনচল্লিশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার তিনশত দশ) টাকা জমা হয়। সুমন খানের কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার নিবাসী হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুম (৩৮) এর ব্যাংক একাউন্টে ১৮৬,৯৫,৬২,১২৭/- (একশত ছিয়াশি কোটি পঁচানব্বই লক্ষ একষট্টি হাজার একশত সাতাশ) টাকা জমা হয়। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও বিপুল পরিমান অর্থের জমা, স্থানান্তর ও রুপান্তর করা হয়। তাদেরকেও আসামী করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার জানান, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামীদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান লালমনিরহাট জেলা শহরের কালীবাড়ি (মাস্টারপাড়া) এলাকার মৃতঃ বাচ্চু খান-এর পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে সিআইডি লালমনিরহাট ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় মামলা দায়েল করেছে।
উল্লেখ্য যে, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।