নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল ১৪ই মার্চ (রোজ শুক্রবার) জাতীয়তাবাদী সাহিত্য পরিষদ (জাসাপ) এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভা টি বেলা ৪ ঘটিকা থেকে শুরু করে ৬ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ছিলো।আলোচনা সভাটি তাজমহল (ক্যাফে)এর দ্বিতীয় তলায় করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক, বহুভাষাবিদ ইতিহাসবিদ ১৫০ শতাধিক বইয়ের লেখক, সম্পাদক জনাব মাহমুদুল হাসান নিজামী।প্রধান আলোচক: হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জনাব সাইফুল ইসলাম শিশির।জরুরী সমস্যার কারণে উনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্সিপাল ড. এটিএম শাহ আলম সিকদার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক,জনাব আতিক হেলাল উপস্থিত ছিলেন জনাব মনজু খন্দকার,আরো উপস্থিত ছিলেন, জনাব জুলিয়াস খান ও জনাব মোশাহেদ
চৌধুরী নোপজ জনাব মজিবুর রহমান বকুল, জনাব ইকবাল আহমেদ খান, অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন স্বরলিপি পাবলিকেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রকাশক জনাবা লিপি আক্তার, এবং জনাব খন্দকার মাসুম মুক্তাদীর খান সহ আরও অনেকেই।অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালনায় ছিলেন, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শরিফুল ইসলাম (শরিফ খান) সভাপতিত্ব করেন জনাব সফিউল্লাহ মিয়া ভাই প জারীয়তবাদী পরিষদ (জাসাপ)
উক্ত অনুষ্ঠানটি কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। পবিত্র কুরআন থেকে সূরা আসর পাঠ করে, সময়ের মূল্যায়ন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। পরবর্তীতে পরিচয় পর্ব এবং আলোচনা পর্ব শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সময়ের আলোচিত শহীদ আসিয়াকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথিদের বক্তব্যেও আছিয়ার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। গত ফ্যাসিস্টের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী লেখকদের প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছে,সেই বিষয়গুলো বক্তব্য ফুটিয়ে তুলে ধিক্কার জানিয়েছে। অতিথিরা জাতীয়তাবাদী সাহিত্য পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রেরণ করেছেন। তরুণ উদীয়মান লেখক এম.কে. জাকির হোসাইন বিপ্লবী চলমান আইনের বিচার ব্যবস্থার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে, জনতার আদালতকে প্রাধান্য দিয়েছে। প্রতিভাবান লেখকরা কলমকে সমাজ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। লেখকদের বক্তব্য স্পষ্ট প্রমাণিত, লেখকরা চাইলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় এগিয়ে যেতে পারে। দেশের উন্নয়নের লেখকরাও ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে, কবিগুরু মাহমুদুল হাসান নিজামী বর্তমান বাংলাদেশের চলমান প্রক্রিয়া, এবং সাহিত্যের ভূমিকা নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। কবিগুরু মাহমুদুল হাসান নিজামী একজন গবেষক, বিশিষ্ট আলোচক,এবং দক্ষ সম্পাদক। প্রিয় কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী একজন আদর্শবান লেখক। ওনার লেখায় সমাজ এবং দেশের বাস্তবতা ফুটে উঠে।ইতিহাস বিষয়ে লিখেছেন অনেক বই। যার কারণে ওনার জ্ঞানের ধারাবাহিকতায় দেশজগত পত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক ডেসটিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে কাজ করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। কবি মাহমুদুল হাসান নিজামীর কৃতিত্ব ছড়িয়ে পড়েছেন এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে। জাতীয়তাবাদী সাহিত্য পরিষদের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তি হচ্ছেন মাহমুদুল হাসান নিজামী। মাহমুদুল হাসান নিজামীর বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী সাহিত্য পরিষদের সফল যাত্রা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এবং কবি সাহিত্যিকদের কে দেশ এবং জাতির স্বার্থে লেখালেখির অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মাহমুদুল হাসান নিজামীর বক্তব্যের পরে, জনাব মজিবুর রহমান বকুল সাহেবের মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়।