স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে ২৪—এর গণবিপ্লব। ছাত্রজনতার এই গণবিপ্লবের চেতনাকে পাশ কাটিয়ে কোনো দল বা ব্যাক্তি যেন ভিন্ন পথে হাঁটার চিন্তা না করে। যারাই হাঁটবেন তাদেরকেই স্বৈরাচারের রাস্তা ধরতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে এবং খুনি হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এই অভ্যুত্থানে ২ হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হন। গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং রাষ্ট্রের আমূল সংস্কার। কিন্তু ৩ মাস না পেরোতেই রাজনৈতিক দলগুলো সেই চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপোসের পথেই আছি হাঁটছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ গণ—আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে মহান জাতীয় নেতা মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ এর ১২৪ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাননীয় বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারন সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জানিপপ এর চেয়ারম্যান অধ্যপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। আলোচকগণ বলেন, জনগণের চেতনার বিপক্ষে আমরা যেন কেউ না দাঁড়াই। আমাদের অবশ্যই জনগণের পক্ষে শক্ত করে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি যদি থাকে, সেই দাবিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা বা দুঃসাহস যেন কেউ না দেখাই।’ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন,তাদের দাবি ছিল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ অর্থাৎ আমরা সুবিচার চাই। সুবিচার যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচারের কোনো সুযোগ নেই। যেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে ঘুষের রমরমা বাণিজ্য চলবে না। জাতীয় সংকটে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকাতে হবে, দল এবং ধর্ম যার যার, দেশ আমাদের সবার। দেশের মৌলিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভাজন এই জাতি কামনা করে না, দেশী বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র এবং সব সংকট ঐক্যবদ্ধভাবে এ জাতি মোকাবিলা করবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ মুক্তিজোট চেয়ারম্যান ডক্টর শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গণ রাজনৈতিক জোট—গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়্যদ মাহাদী হাসান বুলবুল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এফডিপি’র আহবায়ক প্রফেসর ড. এ আর খান, বাংলাদেশ গণ—আজাদী লীগের মহাসচিব আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মিসেস রেহেনা সালাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আমিন আহমেদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আব্দুল মাবুদ, শিক্ষাবিদ ও নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু, কবি নাহিদ রোকসানা, মন্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ গণ—আজাদী লীগের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আব্দুল হাই সবুজ, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মোঃ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ ফজলুল হক ফারুক, বাংলাদেশ জনমত পার্টির চেয়ারম্যান সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, গণ অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান সরদার মোঃ আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবুল কাসেম মজুমদার, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান মোঃ আবু আহাদ আল মামুন দ্বীপু মীর,জাতীয় ওলামা মশায়েখ ঐক্যজোট এর চেয়ারম্যান মাওলানা শরীফ হাজারী, কবি নাহিদ রোকসানা কবি মনিরুল ইসলাম, কবি সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।