মোঃ রাব্বী হাসান, স্টাফ রিপোর্টার:
কাঙ্খিত বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক ও আমজনতার দল বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশিষ্ট রাস্ট্র চিন্তক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন দায়িত্বশীল পদে থেকে রাস্ট্র ও আমজনতার সাথে ঠাট্টা মশকরা ও রং তামাশা বন্ধ করুন। না পারলে জনগণের কাছে দায়িত্বে বুঝিয়ে দিয়ে পদত্যাগ করুন।
ভুলে গেলে চলবেনা আমরা রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমএকটি রাস্ট্র পেয়েছি। রং তামাশা এবং ঠাট্টা মশকরা করার জন্য নয়।
৫৪ বছর পরে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র জনতা রক্তদিয়ে বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে যার যা ইচ্ছে মত রংতামাশা করার জন্য নয়।
রাস্টপ্রধান, কিছু উপদেষ্টা, রাজনীতি বিদ, বুদ্ধিজীবি ও ছাত্রনেতাদের কেউকেউ লাগামহীন ও বেফাঁস কথা বলে আমজনতার ও জাতির সাথে ঠাট্টা - তামাশা করে চলেছেন
এটা কখনও কাম্যনয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও অন্তবর্তী সরকার গঠন এখন মীমাংসিত বিষয়। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা জাতি ও জনগণের সাথে ঠাট্টা- মশকরার সামিল।
ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ওইদিন (৮ আগস্ট) সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের সাথে ঠাট্টা মশকরা করার কারন রহস্যময়।
জননেতা মোঃ আসাদুজ্জামান এক বাণীতে মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ ইতিহাসের চরম সত্য ও মীমাংসিত বিষয়গুলো থেকে সযত্নে দূরে থাকতে’ ও বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকারের প্রতি।
তিনি আরো বলেন গরীবজনতার সাথে নিত্যভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ে ঠাট্টা মশকরার করা হচ্ছে।
এখন কৃষক ঠকে মাঠে, ভোক্তারা ঠকে হাটে। বর্তমানে মধ্যবিত্ত সহ সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে পাগল প্রায়।
ডিম, মুরগী মাছ,সবজি সহ
নিত্যভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তাদের আজ ত্রাহী অবস্থা। সকলের প্রশ্ন কে রুখবে সিন্ডিকেট? এরাকি বিপ্লবী সরকারের চাইতেও শক্তিশালী? এরাইতো ১২০০ টাকা কেজিতে কাচামরিচ, ৩০০ টাকা কেজিতে পিয়াজ, ৮০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলো। সাধারণ মানুষের আয় ও বেতন দ্রব্যমূল্যের সাথে মোটেই বাড়েনি। মানুষ ন্যায্যমূল্যে আলু, ডিম পিয়াজ খাওয়ার নিশ্চয়তা চায়। বিগত দুই বছরে সারা বিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম নিম্নমুখী অথচ সিন্ডিকেটের কারণে আজ দেশে ভোগ্য পণ্যের দাম লাগামহীন। এই সিন্ডিকেটের কারণে বিপ্লবী সরকারের অনেক অর্জন ম্লান হতে চলেছে। জনগণকে বিপ্লবী সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সিন্ডিকেটের অপ-প্রয়াস রুখতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধী তথা সিন্ডিকেট কে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।তিনি বলেন জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্ব নিয়েও ঠাট্টা মশকরা চলছে। মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন জুলাই বিপ্লব ছিলো দেশের আপামর ছাত্র-জনতার, এই আন্দোলনের কৃতিত্ব কারো একা নেয়ার সুযোগ নেই। আমজনতার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়।
এই আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব আমাদের শহীদ ও হাত-পা-চোখ হারানোসহ নানাভাবে আহত ভাই-বোনের। যাদেরকে বুলেটের গুলি কিংবা জুলুম কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারে নি। তারা একজন শহীদ হওয়ার পরে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন দু:শাসন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে। শিশু কিশোর সহ আমজনতার সম্মিলিত অংশগ্রহণ তিনি অনুরোধ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ব্যর্থ হলে সে ব্যর্থতা হবে সমগ্র জাতির। তাই বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফসল, উদার গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাস্ট্র মেরামত ও সংস্কারে তাদেরকে কাজ করতে দিতে হবে এবং সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। অবিলম্বে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে রাস্ট্রপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানান।