নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর খানা বাসমতী রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতি-ধর্মের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় “দল যায় যায় নাগরিক পরিষদ সবার” এই শ্লোগানে কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৫র্ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সংগঠনে ঢাকা মহানগরের সভাপতি আব্দুল হামিদ রানা’র সভাপতিত্বে, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির, গণ আজাদী লীগের সভাপতি আতা উল্লাহ খান, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ডেভলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, পিসিএনপির ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শাহজাহান সাজু, মুসলিম লীগের প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আলীম, বিশিষ্ট যুব নেতা প্রভাষক ডা. এম তারিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট যুবনেতা ও সমাজ সেবক মোঃ মুন্নাফ হোসেন সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তাগণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন পূর্বক চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়ে বলেন, শান্তি চুক্তিতে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মূল স্রোতধারা থেকে সর্বক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ এত সুযোগ নিয়েও আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ও তার সমর্থকেরা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, উন্নয়নের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক ও ঘৃণাব্যাঞ্জক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরত। তারা দেশি-বিদেশি ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও রাষ্ট্রদোহী কাজ। এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অনতিবিলম্ব শান্তি চুক্তির বৈষম্য মূলক ধারা সংশোধন করুন।