রিয়াদ আহমেদ, ঢাকা:
ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী বনানী থানা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান রনি। ১ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে রাজধানীর মহাখালীতে ছাত্র জনতার উপর হামলার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন তিনি।
জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় রনিকে দেখা যায় তার কর্মীদের নিয়ে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় ছাত্র জনতার উপর হামলা করতে। বেশ কয়েকজন ছাত্রকে তিনি পিটিয়ে আহত করেছেন। ছাত্র জনতার আন্দোলন প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন তিনি হেলমেট পড়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজপথে মহড়া দিতেন। ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয়। নিয়মিত গুজব ছড়াতেন, আন্দোলনকারী ছাত্র জনতাকে হুমকি দিতেন এবং তাদের প্রতিরোধে নানা রকম পরিকল্পনা শেয়ার করতেন। এছাড়া তার ছাত্র জনতার উপর হামলার ছবি ভিডিও নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে এসব ছিল ক্রেডিট কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের পর এগুলো হয়েছে বিপদের কারণ। তাই সেই ছবি ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ডিলেট করে দিয়েছেন।
অনুসন্ধান করে দেখা যায় তার ফেসবুক আইডি ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার তোলা ছবির ছড়াছড়ি। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে শো অফ করা ছিল তার নেশা। যেগুলো এখন উধাও ক্ষমতার পালাবদলে।
সম্প্রতি তাকে দেখা গিয়েছে বনানীর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে এক ফ্রেমে। এখন প্রশ্ন উঠেছে- “তবে কী রনি এতো সহজেই বিএনপি নেতা বনে যাবে? ছাত্র জনতার উপর হামলার কোনো বিচার হবে না? বিএনপির নেতারা তাহলে সব ভুলে গেছেন? নাকি অন্য কোনো রহস্য জনক স্বার্থ আছে?”
তবে যেসব বিএনপি নেতাদের সঙ্গে রনিকে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে তাদের একজন গোলাম কিবরিয়া অবশ্য স্বীকার করেছেন রনির ছাত্র জনতার উপর হামলার কথা। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি ও ছাত্র জনতার আন্দোলনে অনেক লাফায়ছে।’
এক সঙ্গে ছবি তোলার বিষয়ে কিবরিয়া বলেন, ‘ভাই এখানে কি বন্ধু থাকতে পারে না,
সবাই ছবি তুলতেছি এই সময় কি বলা ?’
সরেজমিনে দেখা গেছে বনানীতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এভাবেই বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এভাবেই যদি আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে মিশে যায় তাহলে গণ অভ্যুত্থানের সুফল মিলবে কী?