মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

শহীদ জিয়ার আদর্শে নিজেকে গড়তে চান সংগ্রামী নেতা জহিরুল

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

ঢাকা মহানগর উত্তরের রাজনীতির মঞ্চে এক পরিশ্রমী, ত্যাগী মেধাবী ও সংগ্রামী তরুণ নেতা হিসেবে পরিচিত মোঃ জহিরুল ইসলাম।
জীবনের দীর্ঘ ১৫ বছরের ও বেশি সময় তিনি বিএনপির জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখে তার রাজনৈতিক চেতনা, আদর্শ ও আত্মত্যাগ দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই তরুণ নেতা বিএনপির প্রতি তার নিবেদনের ইতিহাস দিয়ে দলে এক শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
১৯৯০ সালে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় জন্ম নেওয়া জহিরুলের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় খুব অল্প বয়সেই। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-০২ আসনের বিএনপি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তার বয়স ছিল মাত্র উনিশ বছর।
এরপর ২০০৯ সালে বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বেও তিনি ছিলেন। এই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই রাজনীতির কঠোর বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তিনি। নির্বাচনের পর সহিংসতার শিকার হয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে হয় তাকে শুধু রাজনৈতিক আদর্শের কারণে নিজের এলাকা ছাড়ার কষ্ট তাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়।
ঢাকায় এসে শুরু হয় তার সংগ্রামের নতুন অধ্যায়।
তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট থানার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুল শিকদারের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে রাজনীতির গভীরে প্রবেশ করেন তরুণ নেতা জহিরুল। বাবুল শিকদারের মতো এক অভিজ্ঞ নেতার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে রাজনীতির আদর্শিক ও নৈতিক দিকগুলো আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেন তিনি। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যান্টনমেন্ট থানার জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রতিরোধ কমিটির ঢাকা-১৭ আসনের ক্যান্টনমেন্ট থানা শ্রমিক দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব নেওয়া ছিল তার জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে তাকে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিশি নির্যাতন, ধরপাকড়, এবং শারীরিক লাঞ্ছনা—এসব কিছুই যেন তার জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। তবুও তিনি প্রতিটি কর্মসূচিতে নির্ভীকভাবে অংশ নিয়েছেন, দলের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির আদর্শিক অবস্থানকে সবার সামনে মজবুত করে তুলেছেন।
জহিরুলের সহকর্মীরা তাকে একজন সহানুভূতিশীল, নির্ভীক ও নিরলস পরিশ্রমী নেতা হিসেবে বিবেচনা করেন। সহকর্মীদের মতে, দলের প্রতি তার এমন নিরলস মনোভাব তাকে যুবদলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিয়ে আসবে। তার সাহস, সততা এবং আত্মত্যাগের মানসিকতা দলে নতুন প্রজন্মের কর্মীদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
জহিরুল ইসলাম নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় বিএনপির জন্য উৎসর্গ করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি আরও উচ্চ দায়িত্বে গিয়ে বিএনপির লক্ষ্য ও আদর্শকে বাস্তবায়িত করার স্বপ্ন দেখেন। “দলকে ভালোবেসে এর জন্য জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে রাজি,”
তিনি বলেন, তার চোখে এক অটুট সংকল্পের ঝিলিক নিয়ে। দলীয় পদে থেকে ভবিষ্যতে আরও বড় দায়িত্ব পালন করার প্রতিজ্ঞায় অটুট থেকে, দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তিনি সদা প্রস্তুত।
ঢাকা মহানগর উত্তর পরবর্তী কমিটিতে তিনি যাত্রা শুরু করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করেছেন। তার বিশ্বাস, বিএনপির প্রতি তার নিবেদন ও আত্মত্যাগ তাকে এই পথচলায় এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেখানে তিনি শুধু একজন নেতা নয়, বরং দলের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে প্রস্তুত একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102