নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ আজ দুটি ধারায় বিভক্ত।একটি অংশ চায় সংস্কার।আর একটি অংশ এই ধারার বিপক্ষে।
যারা সংস্কারের পক্ষে তারা নতুন সংবিধান চান।কারণ বিদ্যমান সংবিধানে মানুষের অধিকারের স্বীকৃতি আছে কিন্তু আধিকার প্রতিষ্ঠার আইনানুগ কার্যকারিতা নেই।দেশের মানুষ জনগণ হলেও বাস্তবে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রত্যক্ষ প্রয়োগের আইন নেই।
আর যারা ৭২ এর সংবিধান বলবৎ রাখতে চান (কিছুটা কাটছাঁট করে হলেও)তারা স্বৈরাচারী কায়দায় ভবিষ্যতে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চান নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ চালানোর জন্য।যুক্তি দেখানো হচ্ছে নির্বাচন দেড়ি হলে নানারকম অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে পারে।
এই সমস্যা নিরসনের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো গণভোটের আায়োজন করে কনস্টিটুয়েন্ট এসেমব্লি গঠন করা যাদের কাজ শুধু সংবিধান তৈরী করা এবং প্রস্তুত হলে এসেমব্লি বিলুপ্ত করা।
কতগুলো জরুরী শর্ত অবশ্যই থাকা দরকার :
মানুষের মৌলিক অধিকার কার্টেল করতে হলে গণভোট দিতে হবে।
সংবিধানের মূল নীতির পরিবর্তন করতে হলে গণভোট দিতে হবে।
ট্রানজিট, ছিটমহল,ইত্যাদি সেনসিটিভ বিষয়ে অর্থাৎ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত থাকলে সেক্ষেত্রে গণভোটের বিধান সংযোজন করা।
বৈদেশিক চুক্তির ব্যাপারে সংসদে সবিস্তারে আলোচনা করা।তাছাড়া ওপেন কোশ্চিনেয়ারের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেয়া।কাজটি অতি সহজ মোটেও কঠিন নয়।
প্রতিবেশী বা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের সহিত বাণিজ্যিক লেনদেন থাকবে তবে রাজনৈতিক ব্যাপারে তাদের মাথা ঘামানোর পথ চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়া।
লেখকঃ মোঃ আসাদুজ্জামান
আহবায়ক-কাঙ্খিত বাংলাদেশ।