স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা জেলার, আদর্শ সদর উপজেলার ২ নং উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) তৃণমূলের জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি, বহুল আলোচিত সফল নারীনেত্রী সোনিয়া আক্তার মহান বিজয় দিবস ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অনন্য অবদানের জন্য জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশন এর বর্ষসেরা আলোকিত নারী সম্মাননা ২০২৪ এ মনোনীত হয়েছেন। খুব শীঘ্রই ঢাকায় জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে জাতীয় ভাবে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে।
তিনি নারীর অধিকার ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশসেরা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিপূর্বে শেরে বাংলা এ কে ফজলুর হক সম্মাননা ও মাদার তেরেসা গোল্ডেন এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে
বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম অহিদুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও মরহুম আখতারুজ্জামান এর প্রিয় সহধর্মিণী সোনিয়া আক্তার কুমিল্লা ময়নামতি রোটারেক্ট ক্লাবের সস্ক্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও সহসভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে পরিবার পরিকল্পনা সমিতির মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে চলেছেন। সংগ্রামী ও আলোকিত নারী সোনিয়া আক্তার খুব অল্পবয়সে পিতাকে হারান পরম শ্রদ্ধেয় মায়ের আদরেই তিনি নিজকে সমাজ ও মানব সেবায় প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর মরহুম স্বামীর স্বপ্ন ছিলো তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশ ও মানবতার সেবক হবেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পত্র আনেন কিন্তু জমা দিতে পারেন নাই নির্বাচন চলাকালেই সময় হঠাৎ করে হৃদরোগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
দেখে যেতে পারেননি প্রিয়তমার বিপুল ভোটে বিজয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া। সোনিয়া আক্তার প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এজন্য তাঁর ভোটার তথা এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুই সন্তানের গর্বিত জননী নারীনেত্রী সোনিয়া আক্তার এর মেয়ে আনিশা জামান মাইশা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও ছেলে আশিকুজ্জামান নুর ৫বছর স্কৃ্ুলে ভর্তি হবেন। সোনিয়া আক্তার গ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এর পাঠ শেষ করে দেশ, সমাজ ও মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তার স্বপ্ন আজীবন দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা। তিনি নারী জাগরণের প্রতিকৃত, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, নবাব ফয়জুন্নেসা, মাদার তেরেসা ও প্রীতিলতার মত নিজেকে নারীর অধিকার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এবং সমাজ সেবায় উৎসর্গ করতে চান। তিনি বর্ষসেরা আলোকিত নারী সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এ পুরস্কার তার প্রয়াত স্বামী ও এলাকাবাসীকে উৎসর্গ করেন।তিনি আরো এগিয়ে চলা যার পথে এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।