মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ইছামতী নদীর বুক জুড়ে মিষ্টি আলু চাষ। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর অধিক লাভের আশায় অল্প পরিশ্রম ফলন ভালো ও অধিক লাভের আশায় মিষ্টি আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সদর উপজেলার বাগবাটি ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বৈদ ঢলডোব গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা প্রাচীনতম ইছামতী নদীর বুক জুড়ে রোপনকৃত মিষ্টি আলু বিস্তৃন্ন মাঠজুরে সবুজের চাদরে যেন ভরে উঠেছে। সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বৈদ ঢলডোব গারুদহ চরহাসনা নারিন্দা চরনারিন্দা ও ইছামতী গ্রামের কৃষক মোঃ জেলহক হোসেন মোঃ শুকুর আলী মোঃ আব্দুর রহমান মোঃ আজাহার আলী জানায় মিষ্টি আলু চাষে অল্প পরিশ্রম ফলনও ভাল হয়। তাছাড়া আমরা অধিক লাভের আশায় নিজেদের প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে এবছর মিষ্টি আলু চাষ করেছি। এ সময় তারা আরো জানান, ধানসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষে লাভ বেশি।অপর দিকে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের পাচিল খোকশাবাড়ি শালুয়াভিটা চর শোলিয়াবাড়ি খোকশাহাট গ্রামে ১৫ বিঘা জমিতে এ ফসল চাষ করেছেন ওই এলাকার কৃষক ছোহরাব আলী নাজির উদ্দিন সুলতান মিয়া কৃষক সামাদ শেখ । এদিকে মিষ্টি আলু চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম তাই এমন ফসল ফলাতে কৃষক আগ্রহ শীল। আবহাওয়া তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা অনুকুলে থাকলে সঠিক পরিচর্যায় মাত্র পাঁচ মাসেই জমি থেকে মিষ্টি আলু উত্তলন করা যায়। বছরের অগ্রহায়ন মাসে জমিতে হালচাষ করে বীজ রোপণ করা হয়। সঠিক পরিচর্য়ার মাধ্যমে চৈত্রর কাঠফাটা রোদে এ ফসল সংগ্রহ করা হয়। সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের উপসহকারী মোঃ ইমরান হোসেন জানান, প্রতি বছর সদর উপজেলায় নদী এলাকার কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় নিজেদের জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করে সাবলম্ভী হচ্ছে। ধানের চেয়ে ফলন ভাল এবং বর্তমান বাজারে ধানের মুল্যের চেয়ে বাজারে মিষ্টি আলুর চাহিদা ও মূল্য কম নয়। তাই মিষ্টি আলু চাষ করে অর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। তিনি আরো জানান,প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসে মৌসুমের শুরুতে কৃষকেরা জমিতে মিষ্টি আলু বীজ রোপন করে থাকে এবং চৈত্র মাসে এই মিষ্টি আলু উত্তলনের মাধ্যমে বাজারজাত করে থাকে। এছাড়া ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৫০/৬০ মন মিষ্টি আলু বাজারজাত করা যায়। এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার সাদাত বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের নদী এলাকায় ২৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ মাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে এবছর মিষ্টি আলু চাষ করেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকগন সঠিক ভাবে ফসল পরিচর্যায় এ বছর কাঙ্ক্ষিত ফলনের চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।