রতন ঘোষ, কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অটো রিকশা চালকের মৃত্যু ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানার ওসি সহ পাঁচজন পুলিশের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জুডিশেল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -০৫ এ খুনের মামলা করেন নিহতের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মরিয়ম আক্তার।যার সি আর মোকদ্দমা নং- ৩৭। অভিযুক্তরা হলেন কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, এস আই কামাল হোসেন, এসআই মোস্তফা মিয়া, এসআই নাহিদ হাসান ও কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম।আদালত২০শে জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযোগসূত্রে জানা যায় গত ৬ই জানুয়ারি সোমবার রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরঝাকালিয়া গ্রামে ওসি তরিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই কামাল, এসআই মোস্তফা, এএস আই নাহিদ হাসান ও কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম মাদকবিরোধী অভিযানের নামে অটো রিকশা চালক ইয়াসিন মিয়াকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও বুট পরিহিত পা দিয়ে গোপনাঙ্গে ও বুকের পাজরে লাথি মেরে এবং বেধড়ক পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন।মারপিটের পর কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ইয়াসিনকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মিতা ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ পুলিশের মার ধরে ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে ঘটনার পরপর অভিযান পরিচালনাকারি ৪ পুলিশকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনাটি বাংলাদেশের অনেকগুলি পত্রিকায় তখন নিউজ আকারে ছাপা হয়। মামলার বাদী নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পিতার খুনের বিচার চাই। মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট মোঃ আবু তাহের হারুন জানান,নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে, ওসি সাহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। আদালত গত ২০ শে জানুয়ারি ঘটনাটির অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( হোসেনপুর সার্কেল)মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান,অটো রিকশা চালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশের নামে আদালতে যে, মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে আমার জানা নেই।