রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল প্রবাস ফেরত সোহেল মিয়া। তিনি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মালচিং পদ্ধতিতে ৫২শতক জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। তার এই মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে পার্শ্ববর্তী এলাকার বেকার যুবকেরা এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সোহেল মিয়া কটিয়াদী পৌরসভার চড়িয়া কোনাগ্রামের মৃত কাঞ্চনমিয়ার প্রবাস ফেরত ছেলে।
সরজমিনে দেখা যায় কটিয়াদী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক সোহেল প্রথমবারের মত ৫২ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে খিরা ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। তিনি গত অক্টোবরে জমিতে চারার রোপন করে যা ৩০/৩৫ দিনের মধ্যেই ফলন আসা শুরু হলে, তিনি কিছু কিছু খিরা বিক্রিও শুরু করেন। মালচিং পদ্ধতিতে ৫২শতক জমিতে খিরা ও মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলিয়ে তার ৫০/৫৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে।ফলন ভালো হওয়ায়এবং বাজার দর ভালো থাকায়, তিনি খরচ মিটিয়ে অন্তত ৭/৮ গুণেরও বেশি লাভবান হবে বলে আশা করছেন।কটিয়াদী উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় সবজি চাষের জন্য এ এলাকার মাটি খুবই উপযোগী। শীতকালীন সবজি চাষে এখানে প্রচুর পরিমাণে খিরা, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, আলু, টমেটো, মুলা ও লাউ সহ বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এবছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ৯টি ইউনিয়নে মোট ১০০ হেক্টর জমিতে খিরা ও মিষ্টি কুমড়া আবাদ হয়েছে।
পৌরসভার চরিয়াকোনা গ্রামের প্রবাস ফেরত কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, “আমি বিদেশ থেকে বাড়ি এসে বেকার হয়ে পড়ি । পরে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার মইনুল ইসলামের পরামর্শে বা ৫২ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো একসাথে খিরা ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করি,এতে আমার খরচ হয়েছে সর্বমোট ৫০ হাজার টাকার মত। বাজার ভালো থাকায় বর্তমানে আমার ৪০হাজার টাকার মত শুধু খিড়াই বিক্রি হয়েছে। বাকি জমিতে আমার যে খিরাও মিষ্টি কুমড়া আছে তাতেই আমার পুঁজি উঠে প্রায় ৩/৪লক্ষ টাকা লাভ থাকবে
বলে আশা করছি”। কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান উপজেলার একশো হেক্টর জমিতে এবছর খিড়া ও মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। খিরা মূলত স্বল্পকালীন ফসল যা ৩০-৩৫ দিনেই ফলন দেয়। কীটনাশক ব্যবহার না করেই জৈব সার দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি চাষের জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে থেকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।