মোঃ জুয়েল খাঁন, বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান খুলনা:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে উপজেলা ভেড়ামারা বিএনপির এক নেতার বাড়ি থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র, ১১ রাউন্ড তাজা গুলিসহ বিএনপির ২ নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার ভোররাতে উপজেলার আড়কান্দি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক নেতারা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান রোকন ও তার ভাই বিএনপি নেতা কাকন। তবে রোকনের পরিবার দাবি করেছে, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন এ নাটক সাজিয়ে তাকে আটক করিয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ৮টা থেকেই আড়কান্দি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শামীম আহমেদের ছেলে সন্ত্রাসী হিমেলের নেতৃত্বে গুলি করে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল করিমের ক্যাডার ফিরোজ আলী গুলিবৃদ্ধ হয়।
এ সময় উভয়পক্ষ থেকে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। অগ্নিসংযোগ করে ৩টি প্রাইভেট কার ও ১টি মোটরসাইকেলে। বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ও এসি ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভোররাতে সেনাবাহিনীর চৌকস একটি দল অভিযান চালায় ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান রোকনের বাড়িতে। এ সময় বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ২টি দেশীয় অস্ত্র, তাজা গুলি উদ্ধার করে। আটক করা হয় বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান রোকন এবং তার ভাই কাকনকে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়েছে।
তবে এ ঘটনাটি সাজানো এবং মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার ভাইকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা ঝুমা। তিনি বলেন, আমার সামনেই বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে সেনাবাহিনী। তল্লাশির সময় কোনো অস্ত্র পায়নি। রোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত না। সে প্রতিপক্ষ রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম বলেন, বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান রোকনের ওপর ৩০ আগস্ট হামলা চালায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। গতকালও পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রোকন ও বিএনপি নেতাদের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।