নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
গত ০৯-০১-২০২৫ ইং রোজ বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট করা হয়। ড: আব্দুল মঈন খান এর নির্দেশে চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আবু বক্করের নেতৃত্বে ইকবাল ও ইমান জমি দখল ও চাদাবাজি করছে। ফেসবুকে এই মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পলাশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বিগত ০৫ ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর এবং তার আগে বিএনপি নামধারী কতিপয় নেতা আওয়ামীলীগের সাথে যোগ সংযোগ ও আত্মীয়তার সুযোগে এলাকার ভূমি দখল ও এলাকায় সামাজিক বিভিন্ন অপ-তৎপরতায় লিপ্ত। আমাদের নেতা ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে আমরা যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি, এবং দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যেগ গ্রহন করেছি ও আইনের শাসন বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে অংঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি, ঠিক তখনি সেই দুষ্কৃতিকারীরা আবার ভিন্ন খেলায় মেতে উঠেছে এবং বিভিন্ন ধরনের ঘটনা সাজিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা ড.আব্দুল মঈন খান ও পলাশ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই আওয়ামীলীগের যে সকল প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন রুপে সামজে বিচরণ করার চেষ্টা করছেন এবং অহেতুক ঘটনা সাজিয়ে আবু বকর সিদ্দিক ভাইদের মতো ভালো লোকেদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে বিতর্কিত করার চেষ্ট করছে। তাদেরকে শীঘ্রই জনগণের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে এবং প্রকৃত মুখোশ উন্মোচন করা হবে। এমনকি প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রকৃত ঘটনার বর্ননা দেন সুলতানপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পুত্র মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমার চাচা আক্কেল আলী পলাশ থানা চরসিন্দুর ইউনিয়ন পাকড়াগঞ্জ মৌজার খতিয়ান নং- ৯৯ সাবেক-৯২ দাগে আর এস-১৫১ দাগের তাহার প্রাপ্য ৮ শতাংশ ভূমি আমার মাতা রহিমা বেগমের নিকট কালিগঞ্জ সাব- রেজিষ্টার অফিসে বিগত ০১/১১/১৯৭৬ সনে সাব কাবলা দলিল মূলে বিক্রি করিয়া চিরতরে নিঃশ্বর্তবান হয়। যাহার দলিল নাম্বার-৬৯৩৩। এবং বিগত ২২/০২/১৯৭৯ সনে আমার চাচা আক্কেল আলী আমি মোশারফ গং এর নিকট পাকড়াগঞ্জ মৌজায় খতিয়ান নং-২৩৯ সাবেক-৮৮ আর এস-২১২ দাগে তাহার প্রাপ্য অংশ ১৮ শতাংশ ভূমি কালিগঞ্জ সাব-রেজিষ্টার অফিসে সাব কাবলা দলিল মূলে বিক্রি করিয়া চিরতরে নিঃশ্বর্তবান হয়। যাহার দলিল নং-৯৮৬। অতপর আমার চাচা আক্কেল আলী লোভের বশবর্তী হইয়া উপরে উল্লেখিত একই দাগ খতিয়ানের ভূমি পুনরায় বিগত ০৪/০৯/২০১৯ সনে তাহার দুই পুত্র
মামুনুর-রশিদ ও সুমন মিয়ার বরাবর হেবা ঘোষনা পত্র দলিল করয়িা দেয়।
খরিদ সূত্রে আমরা মালিক হইয়া আমাদের নাম জারি করয়িা এ জাবত কাল ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি সে মতে বি আর এস পর্চা আমাদের নামে লিপি হইয়া প্রকাশিত হয়।
উল্লেখিত আক্কেল আলীর ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি মেয়েদের স্বামী সহ ১৩/১৪ জন এর একটি সংর্ঘবন্ধ ভূমি জবরদখল কারী ও সত্রাসী বাহিনী। ঘটনার দিন আমি জমিতে কাজ করার সময় মামুন গংরা আমার জমি দখল করতে আসলে আমার ডাক চিৎকারে ইকবাল ও ইমাম এগিয়ে আসলে আক্কেল আলীর নাতনী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয় এবং ড. আব্দুল মঈন খান এর নির্দেশে আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছত্রছায়ায় ইকবাল ও ইমাম চাঁদাবাজি করছে। যাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও গুজব আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুলতানপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন, ইমাম হোসেন, আঙুর,লোকমান মোল্লা, দেলোয়ার ভূইয়া, সাকাওয়াত ভূইয়া সহ সুলতানপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।