মিলন মন্ডল, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ট্রাক্টর দিয়ে উঠতি ফসল ও দুটি পানের বরজ গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে ভুক্তভোগী সুকুমার চন্দ্র বর্মন বলেন, পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে ৪ একর জমি তিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন। যাহা ১৯৪০ ও ১৯৬২ সালের রেকর্ড ভূক্ত। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের বিআরএস রেকর্ডে প্রতিপক্ষ নয়ন চন্দ্র বর্মনের বাবা মৃত রামেশ্বর চন্দ্র বর্মন অবৈধভাবে কৌশলে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। যাহা সংশোধনের জন্য তিনি আদালতে মামলা করেছেন। বিষয়টি বিচারাধিন রয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি উক্ত জমির অংশিদারিত্বের দাবি তুলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সমন্বয়ে শালিসের আয়োজন করে। পাশাপাশি বিষয়টি সমাধানে থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।
এরই মধ্যে আজ ভোরে প্রতিপক্ষ অর্ধশতাধিক ভাড়াটিয়া লোকজন হাতে লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, রাম দা নিয়ে আমার বসতবাড়ির দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে জমিতে হামলা চালায়। তারা ট্রাক্টর দিয়ে উঠতি আলুর জমিতে চাষ দিয়ে আলু ক্ষেত বিনষ্ট করে। এসময় ১শ মণ আলু লুটপাট করা হয়। পরে দুটি পানের বরজ মাটিতে গুড়িয়ে দেন চলে যান প্রতিপক্ষরা। এতে অন্তত: ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন সুকুমার চন্দ্র বর্মন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাইছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নয়ন চন্দ্র বর্মনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেএ বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।