রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঝরে গেল খুলনার একজন আদর্শ সাংবাদিক হারুন অর রশিদ রায়গঞ্জে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা কবি হেলাল ও হেলেনের সংলাপ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের আহ্বান তরুন সমাজের বিশ্বনাথে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে সংবর্ধনা প্রদান করল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা আর্ট একাডেমির শিশুশিল্পী আরশিন এর শুভ জন্মদিন উদযাপন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উপলক্ষে থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী গুনী সংগীতশিল্পী দ্বৈপায়ন বিশ্বাস এর ছবি এঁকে উপহার দেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস কবিতাঃ ভালোবাসার ইমারত কবিতাঃ সুখ – কলমেঃ আবুল কালাম তালুকদার

পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারের এক মাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২ Time View

মিলন মন্ডল, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদী৷ অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রীজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো গনকপাড়া গ্রামে সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না, আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী। অলিরঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজার গুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।
স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, বদরুল আলম জানান, আশে পাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বানিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ী, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

স্থানীয় কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102