শামীম আহমেদ, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প পাশ, আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল, বেতন বৃদ্ধি’সহ ঈদুল ফিতরের পূর্বে বকেয়া বেতন ও বোনাস প্রদান, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের প্রয়োজনে কেন্দ্র স্থানান্তরের সুযোগ প্রদান ও অসুস্থ্য, অবসর বা মৃত্যুবরণ করলে শিক্ষকদের জন্য তহবিল গঠন করে এককালিন অর্থ প্রদানের দাবিতে পাবনাতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১১ঘটিকার সময় মউশিক শিক্ষক পরিষদ বাংলাদেশ পাবনা জেলার শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করেন, জেলার মসজিদ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫শতাধিক শিক্ষক। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বি,এনপির চেয়ারপার্সেন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মো: শামছুল রহমান শিমুল বিশ্বাস। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলার নায়েবে আমির হাফেজ অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার খাঁন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন
মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের পাবনা জেলার ফিল্ড অফিসার মো. রজব আলী, ফিল্ড সুপার ভাইজর মো: মাসুদ হোসেন, ফিল্ড সুপার ভাইজর মো উজ্জ্ল হোসেন ফিল্ড সুপার ভাইজর মো. ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ৭ম পর্যায় (৩১.১২.২০২৪ খ্রি.) পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সারা দেশব্যাপী ৭৩ হাজার ৭৬৮টি শিক্ষা কেন্দ্র ও ২ হাজার ৫০টি রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েও বর্তমানে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে সারা দেশের মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদেরকে বিনামূল্যে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, কিশোর-কিশোরী ও বয়স্কদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দান করে আসছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম ওলামা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তারা আরও বলেন, প্রকল্পের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্যায়ের জনবল দীর্ঘদিন কাজ করার পরও রাজস্বখাতের আওতাভুক্ত করা হয়নি। চাকুরি জীবনে ১৯৯৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে নিয়োগ প্রাপ্ত কোন জনবলের পদোন্নতি হয়নি। প্রকল্পটি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত চলমান থাকলেও প্রকল্পে কর্মরত জনবলের মূল বেতন বছর বছর কখনো বৃদ্ধি করা হয়নি।
বর্তমানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম) পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন হলেও দীর্ঘ ৩২ বছরের এই শিক্ষামূলক প্রকল্পটিকে আউটসোর্সিং করার চিন্তা ভাবনা চলছে। যেখানে ৯% হিন্দুদের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি আউটসোর্সিং করা হয়নি সেখানে ৯০% মুসলমানের দেশে কুরআন শিক্ষা প্রকল্পকে আউটসোর্সিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে কুরআন শিক্ষার প্রকল্পটি ধ্বংস করা হবে।