এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জেতেলিগাতি ইউনিয়নে ৮কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কের ৩ টি ব্রীজ নির্মাণের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। যার ফলে নির্মাণাধীন কাজে রডে ধরেছে মরিচা। ঠিকাদারের হদিস মিলছে না। স্থানীয় জনসাধারনের দাবি ব্রীজ ও কার্পেটিং রাস্তার কাজ দ্রত শেষ করার।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নে সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্তাবধানে পিংগরিয়া থেকে তেলিগাতি এতিমুল্লাহ ঢুলিগাতি হয়ে হেড়মা বাজার অভিমুখি ৮ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের প্রকল্পের কাজটি মাহবুব ব্রার্দাস এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কাজটি শুরু করেন। পরবর্তীতে এ কাজের আওতাধীন এতিমুল্লাহ কাটাখাল সংলগ্ন ব্রীজ, হরগাতি, ঢুলিগাতী বটার খাল সংলগ্ন ব্রীজ ও তেলিগাতি বাজার সংলগ্ন এ ৩টি ব্রীজ নির্মাণের কাজ ২০২২ সালের শেষের দিকে শুরু হলেও ব্রীজগুলোর বেজঢালাই দিয়ে আংশিক কাজ সম্পন্ন করে মাঝ পথে কাজটি ফেলে রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আর কোন হদিস মিলছে না। যার ফলে রোদ বৃষ্টিতে নিমাণাধীন ব্রীজের মালামাল রডগুলোতে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, লুৎফর হাওলাদার, হাবিব তালুকদার, আতিয়ার দিহিদার, খান বদিউজ্জামানসহ একাধিকরা বলেন, প্রায় এক বছর ধরে সড়কের ৩টি স্থানেই ব্রীজ নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজ কবে নাগাদ আবার শুরু হবে তার কোন সুরহা নেই। পথচারি, ভ্যান চালক, যাত্রীবাহি মোটরসাইকেল আরোহিদের ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয়দের দাবি বন্ধ থাকা নির্মাণাধীন কাজটি পুনরায় দ্রæত চালু করে জনসাধারনের ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এ বিষয়ে তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, পিংগরিয়া হয়ে হেড়মা ৮ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কের ৩ টি চলমান ব্রীজ নির্মাণের কাজ গত বছরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা এসে কিছুদিন কাজ করেছিলেন। পরে তারা কাজটি বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি বাগেরহাট জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে বাগেরহাট জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মোরেলগঞ্জের তেলিগাতি ইউনিয়নের চলমান ৮কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজটি সাময়িক বন্ধ থাকায় শুরু করার জন্য ইতোপূর্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি। অচিরেই তারা কাজ শুরু না করলে, নতুন করে এ কাজের টেন্ডার দেওয়া হবে।