কলমেঃ সেক রজব আলি
খোদার লাখো শুকরিয়া
জুমার দিনেই তো সম্মতি পেলাম।
এক পাগলের পাগলামির আর্জীনামা তোমার আদালতে আজ মঞ্জুরি পেল।
পাগল চেয়েছিল তোমার কাছে এক মুঠো ভালোবাসা।
তুমিও অবশেষে দোপাট্টার (ওড়না) বাঁধন খুলে ভালবাসার সিলমোহর বসিয়ে দিলে পাগলের ছেঁড়া কাগজের আবেদনে।
এবার সিংহাসন থেকে নেমে আসার পালা।
হাতে হাত ধরে কাঁটা তারের সব বেড়া ডিঙ্গিয়ে কোন এক নির্জন প্রান্তে চলো এবার চলি।
যেখানে শুধু তুমি আর আমি।
সেখানে আমরা পাশাপাশি হাঁটি, কাছাকাছি বসি, চোখে চোখ রাখি আর
সমুদ্রের ঢেউ অথবা আকাশের তারা দেখি কথা বলি।
দেখতে দেখতে বলতে বলতে আমরা না হয় বাবুই পাখি হয়ে যাই।
একটা খড়কুটোর সুন্দর বাসা তৈরি করি। যেখানে
কোন এক মধ্যাহ্নের অলসতায় তোমার কোমল বুকে মাথা রেখে হারিয়ে ফেলি নিজেকে অনন্তকালের ঠিকানায় নক্ষত্রদের দেশে।
তোমার নীল চোখের নীলিমায় আমি নেশায় ডুবে যাই।
যেভাবে ফুলের গন্ধে নেশায় ভ্রমর ডুবে,
আমিও তোমার খোঁপার হলুদ গাঁদার গন্ধে তেমনি ডুবি।
এসো বাবুইয়ের চোচ হয়ে একটা নীড় গড়ি।
শত শত্রু ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচিয়ে রাখি।
দিনের পরিশ্রম করা অলস ডানা গুটিয়ে তোমার চোচে চোচ লাগিয়ে উত্তেজনার পালক ছড়িয়ে তোমার ডানায় আমার ডানা জড়িয়ে তোমার রক্তের উচ্চ চাপের গতিধারায় প্রবলশ্বাসের ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙবে আমার আকাঙ্ক্ষার পর্বত শৃঙ্গ।
আমি স্বস্তি পাবো অফুরান,
আমি শান্ত হবো।