কলমেঃ জাসমিনা খাতুন
দীর্ঘ বেণী ছোট করার আগে,
চোখে পড়লো চোরা ব্যঙ্গের চাউনি,
উপেক্ষা করলো সে, ঠান্ডা বাতাসে নিল বুক ভরে।
কতদিন খোলা আকাশে ছিল না এমন স্নিগ্ধতা,
বন্দিশালার ভেতর থেকেও দূরে, বাতাসে ছিল মিষ্টি আতরের সুগন্ধীর মতো।
ড্রেসিং টেবিলের আয়না হাসে দূর থেকে,
ধীরে কাছে গেল, চুপি চুপি বলছিল কথা আয়নার সাথে।
কপাল থেকে লাল টিপটা খুলে রেখে,
হাত থেকে শাখা, বুক থেকে শাড়ির আঁচল—
আকাশে ছুড়ে, নিজেকে দেখলো নতুন করে।
এ চাহনি, জ্বালা ধরিয়ে দেয়, তবে কেন বন্দিশালায় মাটি হয় সব কিছু, ভাবলো।
পুরনো দিনের কলেজে পড়া জিন্স প্যান্ট,
এবং ছোট্ট টি-শার্ট, যা ছিল এক সময় তার পছন্দের পোশাক।
বাহ! কী সুন্দর মানাচ্ছে, ডাইনে-বায়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে আর ভাবছে,
পুরনো হলেও এখনো ফিটফাট—যদিও শরীর বাড়েনি চিন্তা আর অযত্নে,
তবে মানাচ্ছে খুব, একদম কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট।
হঠাৎ আয়না হেসে উঠলো, খিল খিল করেই হেসে উঠলো,
বাহ, বেশ মানাচ্ছে তোকে,
তুই কেন নিজেকে বন্দী করে রেখেছিস?
নিজেকে ভালোবাস, একটু হাস,
এই পৃথিবীতে সবাই কিন্তু নিজেকে ভালোবাসে,
তাহলে তুই কেন নয়? হাউসওয়াইফ বলে..!
ধুর বোকা, ভালো-মন্দ যাই হোক, জীবন তো একটাই,
নিজেকে ভালোবাসা, একটুখানি হাসা—এটাই তো আসল মুক্তি আশা।