কলমে: পত্রলেখা ঘোষ
আমার কবিতার খাতার প্রতি মমতা শুধুই আমার একার-
আর কারো তার প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই।
তাই সে পড়ে থাকে পরম অভিমানে নিঃসঙ্গ হয়ে
টেবিলের একটি কোণে নিজের মুখ লুকিয়ে।
নিঃশব্দের শব্দেরা একাকী দিবারাত্রি ছবি এঁকে চলে বেদনার গভীর নীল রঙে -
নীরব কষ্টের গভীর পরিচয় বহন করে চলে সে ছবি।
পেরেছি কি কোনো ধর্ষককে,তার কুপ্রবৃত্তি সংযমের শিক্ষা দিতে?
শুধু তাই নয় যারা ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে গর্বিত হয়, তাদের বিবেকবোধকে জাগাতে পারলাম কি?
পারি নি।
নির্যাতিতা নারীর আর্ত ক্রন্দনে মুখরিত হয়েছে বাংলার আকাশ বাতাস।
পেরেছি কি নবীন প্রজন্মকে বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগে সিক্ত করতে?
বই পড়ার অভ্যাস কোথায় যেন উবে গেল!
পেরেছি কি কোনো সাহিত্য বিদ্বেষী মানুষকে কাব্যের মধুর ঝঙ্কারে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে?
মানুষের মধ্যে মানবিকতাকে ফিরিয়ে আনতে?
পেরেছি কি শ্রমিকদের অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে?
তাহলে কেন আর কবিতা লেখা?
তার মাধ্যমে যদি মানুষের চিত্তমাঝে প্রবেশ করতে না পারি!
তাই তো প্রতিমুহূর্তে ক্ষতবিক্ষত হয় আমার কবিতার আকাশ,
বহু বহু পুরষ্কার যেন বিদ্রুপের হাসি হাসে।
চোখের সামনে একটি রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকাল যেন খুব নীরবে ধূসর হয়ে যায়।
গভীর হতাশার অন্ধকারে আমি নিমজ্জিত হয়ে যাই-
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি না,ভাবি মেরুদন্ডটা ঠিক আছে তো!
চেয়ে দেখি
আমার আমির নাটকীয় পরাজয়।