কলমে: মোঃ আব্দুল রহমান
শরীরটা ভীষণ জীর্ণ, রুগ্ন,
হয়তো দুরারোগ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে,
হয়তো মারণরোগ ক্যান্সার চির বাসা বেঁধেছে।
তবুও বাঁচার আশায় আঁকড়ে ধরেছে মন,
শরীর ছাড়তে চাইছে না পরম আত্মা!
এতোটাই ভালোবেসেছে ধরার কোমল অন্তরকে।
তাই চেঁচিয়ে উঠলাম —
“আমি বাঁচতে চাই, আমি বাঁচতে চাই…!”
কিন্তু হঠাৎ তাকালাম ঐ সুদূরে….,
চেয়ে চেয়ে দেখলাম কেবল একদৃষ্টে —
কানে ভেসে এল কেবল চিৎকার ! চাপা আর্তনাদ !
পৃথিবীর আকাশে উঠল তুমুল হৈচৈ, গুঞ্জন,
বাতাসে ভেসে এল তাজা বারুদের ঘ্রাণ,
যে ভয়টা বুকে ধুকপুক করছিল, তা শুরু হল;
ক্ষুধার জ্বালা ! হানাহানি ! সংঘাত ! মোহের লড়াই !
ইশ, সবুজ ধরা, অপূর্ব দৃশ্য, অপরূপ সৃষ্টি,
লোভ-লালসার অস্তিত্বে বিনাশের পথে…!
চোখের কোণে নোনা জল ভাসল —
বললাম; বাঁচতে চাইনে আর, বাঁচতে চাইনে…!
হয়তো আরোগ্য লাভ হবে শরীরের,
কিন্তু বিবেকের অদৃশ্য ভাইরাস কি দূর হবে?
মনুষ্যত্ব ও চেতনার উগ্র ক্যান্সার কি সারবে?
এ যে চির মারণব্যাধি, যা নৈতিকতা ও জ্ঞানের আলোকহীন, গভীর কুয়াশাচ্ছন্ন !
তবুও হার মানবে কি বসুন্ধরা ? হে মৃতুঞ্জয়ী,
জাগিয়ে দাও পাষাণ ফুঁড়ে, তুমি তো চিরন্তন জয়ী।
হে বসুন্ধরা ! কবে খুলবে ঐ জগৎদ্বারের আলো?
হে সৃষ্টিকর্তা ! এক সুতোয় মানবতার প্রদীপ জ্বালো!