কলমে: সেখ আলমগীর রহমান
আমাকে কি তোমার একটুও মনে পড়ে না?
সেই রাতগুলো, যখন দুজনে জেগে থাকতাম,
মুঠোফোনের ভিডিও কলে চোখে চোখে,
তুমি কথার মাঝে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে,
আর আমি, আমার ঘুমানোর আগেই স্বপ্নে হারাতাম।
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম, টেরই পেতাম না।
তারপর হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙলে তোমাকে জাগাতাম,
“কি গো, ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?”
রাজা হতে না পারি, কিন্তু তুমি ছিলে আমার মনের রানী।
তোমার নীরব কান্না যখন চোখ ভিজিয়ে দিত,
আমি দূর থেকে অনুভব করতাম সেই যন্ত্রণা।
আমার রাগ, অভিমান সব ভেঙে যেত,
তোমার অশ্রু দেখে বুকের ভেতর মোচড় দিত।
তবু, কতবার আমরা মিলে ভালোবেসে
একসাথে সব ভুলে যেতাম, স্নেহের অজুহাতে।
আজ সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে,
যেখানে আমরা ঝগড়া করেও পাশাপাশি থাকতাম।
কিন্তু হঠাৎ কি এমন হলো,
তুমি সবকিছু ফেলে একা চলে গেলে?
আমি এখন তোমার জন্য পাগলপ্রায়,
হয়তো একদিন রাস্তার পাগল হবো,
তোমার কণ্ঠ, তোমার বলা সেই “আই লাভ ইউ,”
যা ছিল আমার কাছে সবচেয়ে মধুর।
কতদিন শুনিনি সেই শব্দগুলো,
কতদিন তোমাকে দেখিনি,
কতদিন তোমার সাথে ঝগড়া হয়নি।
কতদিন তোমার ভালোবাসার ছায়া পড়েনি আমার দেহে,
কত রাত তুমি আর বলোনি, “ঘুমিয়ে পড়ো, অনেক রাত হলো।”
কত রাত তুমি বলোনি, “আমার কসম দিলাম, তুমি ঘুমের ওষুধ খাবে না।”
কত সময় পার হয়ে গেল, তোমার মুখে আর শুনলাম না,
“কি করছো আমার প্রিয় কবি, হে আমার প্রাণের কবি, তোমাকে অনেক মিস করছি।”
কতদিন শুনিনি তোমার কণ্ঠের সেই মুগ্ধ শব্দ।
বলোনা, মনে পড়ে?
আমার তো কি ভীষণভাবে মনে পড়ে তোমায়।
মনে পড়ে তোমার সেই ভালোবাসা,
আর তোমার ছেড়ে যাওয়া অবহেলার স্মৃতিগন্ধা।
সত্যি করে বলো,
তোমার কি সত্যিই আর আমাকে মনে পড়ে না?