০১- শান্তির দিন গেছে হারিয়ে
কোথায় হারিয়ে গেলো শান্তি মাখা সেদিন,
যেদিন হিংসা ছিলো না ছিলো শুধু মানবতা।
হিন্দু- মুসলিম বন্ধু ছিলো, ওরা ছিলো এক সুত্রে গাঁথা।
বড়দের ছিলো সম্মান, ছোটদের ছিলো ভালোবাসা।
চাঁদের আলোয় গাদন খেলা, বন্ধুরা মিলে গান গাওয়া।
এগুলো আজ হারিয়ে গেছে নেই শান্তির ছোঁয়া।
পুকুরের শাপলারা আজ মরে গেছে, ভোরের দোয়েল দিশেহারা।
সেদিনের সেই ডাক থেমে গেছে, আর ডাকে না সকাল বেলা।
ওরা আজ পৃথিবীর পরিবর্তনে মুখ লুকিছে থেমে গেছে সব কোলাহল ।
মাঝির সুর আজ থেমে গেছে, গান করে না সকাল সাজে।
মাঝি আজ ভয়ে আছে হিংসা করে কেউ যদি দেয় মেরে।
জোনাকি গুলো আজ দেশ ছেড়েছে, পৃথিবী যেনো অন্ধকার।
চাঁদের আলো ঝাপসা যেনো, হিংসায় ঘিরে আছে চারিপাশ।
হিংসার আগুনে আজ মানবতা পুড়ছে, পৃথিবীর কোথাও নেই শান্তির বাস।
চারিদিকে শুধু হিংসার আগুনে পুড়ছে, হচ্ছে পৃথিবীর সর্বনাশ।
বিধাতা আজ শান্ত কেনো, নাকি সে দেখছে সব কিছুর সর্বনাশ।
হায়রে যেদিন গেছে হারিয়ে সেদিন আর পাবো না ফিরে।
এই যন্ত্রণা নিয়ে চলে যেতে হবে পৃথিবী ছেড়ে।
০২- গোপন প্রিয়া
তুমি কি হবে আমার জীবন সাথী, ভালোবাসবে কি আমায়।
আমার হাত ধরে রবে কি সারাজীবন ভর,
সাজ সকালে তোমার গানের সুরে আমার ঘুম ভাঙে।
তুমি বুকের কোনে ভালোবাসা লুকিয়ে রেখে,
অনুভবে বুঝাও কতোটা ভালোবাসো আমায়।
একবার নিজ মুখে বলনা তুমি ভালোবাসো আমায়।
আমি তোমার নিয়ে চাঁদের আলোয় ঘুরবো সুজন মাঝির নাওয়ে।
গোলাপ বকুলের মালা গেঁথে পরাবো বুকে নিয়ে,
আলতো চুলে একে দিবো ভালোবাসার রেখা।
তোমার চুলের বেনীতে আমি পরাবো বেলী ফুলের মালা।
তুমি বলনা ভালোবাসো আমায়,
দুচোখের কোনে একে দিবো কাজল রেখা,
নীল শাড়িতে বেশ মানাবে তোমায়,
বর্ষা বিকালে ভিজবো দুজনায়।
তুমি নতুন করে বাঁচার আশা জাগাবে কি আমায়।
আমি ভিষণ ভালোবাসবো তোমায়,
তরুলতার মতো আগলে রাখবো তোমায়।
ওগো প্রিয়া একবার নিজ মুখে বলনা ভালোবাসো আমায়।