জাস্টিস
কে দেবে জাস্টিস
চোখ বাঁধা কাপড়ে
হাত হয়েছে প্যারালাইসিস
চটি যাচ্ছে ক্ষয় হয়ে
ভেঙ্গে যাচ্ছে মনোবল
রাজহংসী লম্বা গলায়
হাঁক মারে শুধু!
ক্ষ্যাপা কুকুর গুলো রাস্তার অলিতে গলিতে চিৎকার করে আর হাঁপিয়ে পড়ে!
ফেসবুক ভরে যায় ফেকবুকে
মনে হয় এই বুঝি এলো সুসময়
পাগলা চুলকে দে! পাগলা চুলকে দে!
সমস্ত আলো থিতু হয়ে নামবে যখন আঁধার
মোমবাতি নিয়ে পথ দেখাবে নিয়ম
স্তব্ধ পুকুরের জলে অবাক নয়নে পাতিহাঁসের মত চেয়ে চেয়ে দেখো বিচারের দাবী লুকানো আছে ক্ষমতার পাঁকে।
তৃতীয় নয়ন
কাঁদানে গ্যাসের বাষ্প
নির্লজ্জের মত ঢুকে পড়ছে
আবদ্ধ ঘরের
চোখগুলো নিতে চায়না
সরল ভাবে
বন্ধ থাক জানালা
বাসনা এটুকুই!
একটি বুলেটের খুব রাগ হলো
তার তাণ্ডব নৃত্য
দেখবেনা কেউ!
তবে বীরত্ব দেখাবে কাকে?
নিষ্পাপের বাম চোখে দিলো একটা খামচা!
সে ভাবতে পারেনি
একটা চোখ খামচে দিলে
কখন সেটা দেবী দুর্গার তৃতীয় নয়ন হয়ে যাবে।
শুধু একবার কহো
আর কতটা রক্ত পেলে
সারবে রাজার অসুখ!
ব্লাড ব্যাংকে মজুত অগণিত তাজা রক্ত
শুষে নেবার জন্য সাজাও চোষকযন্ত্র!
ওরা রাজপথে প্রস্তুত
শুধু একবার কহো আর কতোটা…
ক হো না খুন ই হ্যায়
জলাতঙ্ক কুকুর কামড়াচ্ছে
নিজের নাদুস নুদুস কচি বাচ্চাদের
ধূমল বিকেলে সেই গান
“কহোনা প্যায়ার হ্যায়…”
লক্ষ্মীপ্যাঁচা!মুখ ভেংচিয়ে বলে ওঠে
ক হো না খুন ই হ্যা য়!
বেদনার সাম্যতা
একবার ক্যানভাসে
আঁকো তোমার বোনের ছবি।
মুছে দিয়ে আবার
আঁকো তোমার প্রেমিকার ছবি।
পুনরায় মুছে দিয়ে
নতুন করে আঁকো তোমার মেয়ের ছবি!
প্রতি ক্ষেতেই
শিয়রে উঠবে বুক।
যন্ত্রণার ঢেউ
আছাড় মারবে সমুদ্র জুড়ে।
গর্জে উঠবে আকাশ,বাতাস ও মাটি
গুমরে গুমরে উঠবে বেদনার সাম্যতা।