আতঙ্ক
দিগন্তরেখার নিচে
রাত নেমে আসতে ভয় করে
তারারা ফুটতে চায়না
মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি যখন ধেয়ে আসে
কবরের শায়িত নীরব লাশও হাপিত্যেশ করে।
অনবরত সিংহের রণহুংকার গিলে গিলে খায় দিনের ফুটে ওঠা কুঁড়িদের
জনপ্লাবন যেদিন
প্রতিক্রিয়া হয়ে ছুটবে তোমার পিছু পিছু
তালি মারার সময়টুকুও পাবেনা।
পাহাড়ের বুকে উদ্গীরিত হবে
ঢেউ
দুঃস্বপ্নের সরলরেখা তৈরি হবে
রাতজাগা চোখে
ঘুমপাড়ানি গানেও আসবেনা
চিরনিদ্রা়র ঘুম।
বন্ধক
দিন রাত জেগে পড়াশুনা করে বানিয়েছি সুন্দর মেরুদন্ড
রোদের প্রলেপ না লাগাতে
কালো কাপড়ের ফাঁকে
জড়িয়ে রাখি তারিখের পর তারিখ
যতই কান্না কাটি করুক না কেনো অভয়ার কঙ্কাল।
রাকেট পর্ব চালাতে লাশকাটা ঘরের নিলাম করি
কমিশনের মুনাফা পেতে অহেতুক কলমের খোঁচা দিয়ে রমরমা বাণিজ্য মেলা সৃষ্টি করি
প্রতিবাদের মুখে ঝামা ঘসে
ঠাণ্ডা বাতানুকূলের হাওয়ায় জুড়িয়ে নিই সাধের মেরুদণ্ড
সময়কে বেঁধে রাখি পালতোলা নৌকায়
যতক্ষণ ইচ্ছে
বিক্রি না করে শুধুই বন্ধক রাখি সাধের শিরদাঁড়া।
চিন্তা
তোমাকে নাজেহাল করতে
একটি স্টেথোস্কোপই যথেষ্ট
হালে পানি আর পড়বেনা
বিকল তোমার ঘুম
দুঃস্বপ্ন তোমাকে আঁকড়ে ধরে রাখে।
গদি ধরে টানাটানি খেলা
খেলতে কেউ কেউ ব্যস্ত
যায় বলো ,বাহানায় চিড়ে ভিজবেনা!
ওরা যে আম পাবলিক নয়
ভূলভুলাইয়া সুরে হাততালির ঝড় উঠছেনা।
না জবাব হয়ে তুমি শুধু খুঁজে বেড়াও
কি ভাবে নিস্তার পাওয়া যায় সেই নাজেহাল অবস্থা থেকে।
ভেবে দেখো পরিত্রাণ মিলবে কিসে?
শেষ টান
মোমবাতি জ্বালানো
রাত জাগা অজস্র চোখ
মুখ বাঁধা কালো কাপড়ের ঢল
দ্রোহের কার্নিভাল
ন্যায় বিচারের পদযাত্রা
অবশেষে অনশন
ঘুম ভাঙ্গেনা তবুও মাসী পিসির
বিবেকে যে তালা মারা
এখন দরকার শুধু একটাই
দড়ি ধরে মারো টান।