বাতাস
=====
সমুদ্র থেকে বাতাস এসে,
ছড়িয়ে দিল পবিত্রতা,বিশুদ্ধতা,
এগিয়ে চলে ঘুম ভাঙ্গিয়ে সবার,
মনে আনে উৎফুল্লতা ও সতেজতা।
ভোরের আমেজে মোরগ ডাকে,
গলি থেকে সে এগোয় রাজপথে,
প্রাতঃভ্রমণকে পাশ কাটিয়ে,
এগিয়ে চলে সে পথে,মাঠে,ঘাটে।
সময়ের সাথে সকাল গড়ায় দুপুরে,
সূর্যালোকের ফলে ক্রমশ উষ্ণতা বাড়ে,
পথিকের অস্বস্তি লাঘবের চেষ্টায়,
তার উৎকন্ঠা সবার নজর কাড়ে।
সূর্যাস্তের পরে এসে সন্ধ্যা নামে,
ফিরে চলে সে নিজের গন্তব্যে,
অপেক্ষায় আছে তার আগামী’র ক্ষণ,
শুরু হবে তা নতুনত্বের সাথে।
তরঙ্গের মত
========
অমাবস্যার রাতে বেরিয়েছিলাম আমি,
অন্ধকারে স্নান করবো বলে,
সন্ধ্যা আমার সঙ্গী হয়েছিল,
স্বপ্নসাধ মেটাবে বলে।
জোনাকীরা দেখিয়েছে গন্তব্যের পথ,
মিটমিট করে জ্বলে,
ডানা ঝাপটানো বাদুড়ের অস্তিত্ব,
বুঝেছি পথ চলে।
শিশিরের স্পর্শ দেহ’তে মেশায়,
শরীর হয়েছে শান্ত,
নিস্তব্ধ পরিবেশের নীরব কথাগুলো,
শুনে ও হইনি ক্লান্ত।
সুস্থ বাতাস ফিসফিসিয়ে বলে,
জীবনটা তরঙ্গের মত,
পশ্চিমে যাওয়া সবারই নিশ্চিত,
আকাঙ্খা মিটিয়ে নাও দ্রুত।