নববর্ষের প্রারম্ভে
পুরানো বছরকে বিদায় জানিয়ে,
নতুন বছর স্বাগত,
নতুন ভাবে হোক না শুরু,
মঙ্গলের জন্য যা আগত।
নতুন চিন্তা,নতুন ভাবনা,
খুলুক মনের দরজা,
মুক্ত মনে হোক না চিন্তা,
বাদ দিয়ে সব তরজা।
হাসবে তুমি,হাসবো আমি,
হাসবো আমরা সবাই,
লক্ষ্য সবার সুখ শান্তির,
পদ্ধতি করায়ত্ত করাটাই।
মিলেমিশে কাজ করতে পারলে,
জয় নিশ্চিত একদিন,
থাকবে সবাই, দেখবে সবাই,
আগামীর সেই সুদিন।
ভাষণ
মৃদুমন্দ বাতাসের সাথে,
কাঁপছে গাছের পাতা,
পতপত করে উড়ছে আকাশে,
তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা।
ভাষণ চলছে মঞ্চে মঞ্চে,
করে সব জয়গান,
স্বাধীনতার ইতিহাস শোনানো হচ্ছে,
শ্রোতাদের রাখতে মান।
স্কুলের শিশুরা সামনের সারিতে,
বসেছে পোশাক পরে,
ফল মিষ্টি বিতরিত হচ্ছে,
পাড়ার ঘরে ঘরে।
যতই আমরা বলি না কেন,
পেয়েছি স্বাধীনতা,
দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুসংস্কার বর্তমান,
এটাই বাস্তবতা।
সাম্য স্বাধীনতা,ভ্রাতৃত্বের ইতিহাস,
আমরা যতই পড়ি,
তবু ও আমরা এড়াতে পারি নি ,
লিঙ্গ বৈষম্য'ই করি।
পথ শিশুটি শুনছিল সব,
দাঁড়িয়ে রাস্তার ধারে,
বুঝেছে কী স্বাধীনতার মানে,
ভিক্ষা যে সে করে!
মিষ্টির তরে বাড়িয়েছে যেই হাত,
ধমক দেয় সবে,
ভাবছে মনে ভিক্ষুরা কি,
স্বাধীনতা পায় নি তবে?
দেশবাসী সব যেদিন থেকে,
থাকা-খাওয়া-পরা পাবে,
মানুষেরা সব মানুষ হয়ে,
সদাচারন করবে,
স্বাধীন ভাবে বলবে কথা,
হাঁটতে চলতে পারবে,
জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে,
বিভেদ ঘুঁচে যাবে,
না ধমকে সবাই আমায়,
শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বাসস্থান দেবে,
হয়তো সেদিন বুঝবো আমি,
ভাষণের বিষয় ও মানে।
হোলি
হোলির দিনে খেলব হোলি,
মনকে রাঙিয়ে দিয়ে,
দুঃখ কষ্টকে দূরে সরিয়ে,
মাতবো সবাইকে নিয়ে।
ছোট বড় ভেদাভেদ নয়,
খেলবে এসো হোলি,
সারা অঙ্গে রংটি মেখে,
গাইবো গানের কলি।
রং বেরঙের সাজ পোশাকে,
হবো রঙীন সবাই,
একে অপরকে দেখে কিন্তু,
মুচকী হেসো না, ভাই।
রাসায়নিক রং কে দুরে রেখে,
এসো আবির খেলি,
মিষ্টি মুখ ও করবো মোরা,
দু-হাত ধরি মেলি।
হোলির রং যে জোয়ার আনে,
আনন্দে মাতোয়ারা হয় মন,
অপেক্ষায় থাকি একটি বছর,
মিলতে আপনজন।