কালবৈশাখী
হে কালবৈশাখী,
তুমি আসো কালের নিয়মে,
বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে,
অনুভূত হয় আমের শীঘ্র পতনে।
হে কালবৈশাখী,
তোমার উপস্থিতি বোঝায়
দমকা বাতাসের দাপট
যা এলোমেলো করে দেয় সব।
হে কালবৈশাখী,
তুমি আসো শিশুদের খেলার সময়
তছনছ করো ওদের খেলার সরঞ্জাম
পারো না কী নিজেকে বদলাতে?
হে কালবৈশাখী,
তোমার আগমনে কত ঘর উড়ে যায়
কত ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়
তুমি তো শক্তের ভক্ত, দুর্বলের যম।
২৩শে জানুয়ারী
অবিভক্ত ভারতের দামাল ছেলে, নামটি হলো সুভাষ,
সারা বিশ্বে ছড়িয়েছেন যিনি, স্বাধীনতা অর্জন প্রক্রিয়ার সুবাস।
দুর্বল জাতিকে দেখিয়েছেন পথ, কি করে এগোতে হয়,
সেই পথেতেই এগিয়েছে সব,
স্বাধীনতার লড়াই এ নির্ভয়।
কাকুতি মিনতি নয়, চাই প্রতিরোধ, চাই সশস্ত্র সংগ্ৰাম,
ভারতে তাই ভীত হয়েছিল, ব্রিটিশ শক্তি তামাম।
চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ, করেছিলে তুমি নিজেকে,
নিজের রক্তের অন্তিম বিন্দু দিয়েও, স্বাধীন দেখতে চেয়েছিলে দেশকে।
"তোমরা আমায় রক্ত দাও, স্বাধীনতা আমি দেব,
"জয় হিন্দ", আর "দিল্লী চলো" তুমিই বলতে পারো।
"ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস নয়, পূর্ণ স্বাধীনতা চাই" - বলেছিলে তুমি,
সাহসের প্রতীক, শৌর্য্যের প্রতীক,
তোমায় বিশ্ববাসী নমি।
দুচোখে তোমার স্বপ্ন ছিল, স্বাধীন হোক জন্মভূমি,
আজকে তা বাস্তবায়িত হলে ও, কেন নেই গো তুমি!
সকলের কাছে "নেতাজী" নামটি যে, জীবনের চেয়েও দামী,
জন্মদিনের পূণ্য লগ্নে আজ, তোমায় অভিবাদন সংগ্ৰামী।