কলকাতার কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন আয়োজিত ‘কাশফুল’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও কবি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
গত রবিবার কলকাতার শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অডিটরিয়ামে সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হলো ১৪৩১ এর শারদীয়া সংখ্যা “কাশফুল” বইটি। অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক, ছন্দবিদ সুব্রত পৈড়া মহাশয়, সভাপতি কবি কেকা ভট্টাচার্য মহাশয়া, প্রধান অতিথি ডক্টর সুভাষ ভট্টাচার্য মহাশয়, প্রধান সমন্বয়ক লেখক তপন মন্ডল ছাড়াও বিশিষ্ট সাহিত্যিক আশীষ ভট্টাচার্য, সুফল ভদ্র, শ্যামল বৈদ্য, বিপুল কুমার ঘোষ, সুভাষচন্দ্র মন্ডল, মনীশ ভট্টাচার্য,কবি আব্দুর রউফ, প্রীতি সরদার ও রাখি পাইক সহ বিশিষ্ট জনেরা। এদিন অনুষ্ঠানে শতাধিক বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক উপস্থিত ছিলেন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান টি উপস্থাপনা করেছেন জনপ্রিয় সঞ্চালক ও কবি বিভাস দাস মহাশয় এবং বাচিক শিল্পী নিপা চক্রবর্তী মহাশয়া।
কাশফুলের সম্পাদক সুব্রত পৈড়া বলেন, ১২০ জন বিশিষ্ট গুণী লেখক এর বিভিন্ন চিন্তাধারার আঙ্গিকে রচিত কবিতা গল্প প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে বইটি। যা পাঠকের হৃদয়কে আলোড়িত করবে সন্দেহ নেই। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঘেরা, নদী কেন্দ্রিক অঞ্চল সুন্দরবন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। তিনি বলেন সুন্দরবন অঞ্চলের মাঠ-ঘাট, গাছ-পালা, পশু-পাখি, জীব-জন্তু, মানুষজন, জীবন জীবিকা ইত্যাদি বিষয় সাহিত্যের আঙিনায় উপজীব্য বিষয় হয়ে উঠুক। সমৃদ্ধ হোক সাহিত্য জগত। বিশ্বে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক সুন্দরবনের কৃষ্টি।
সভাপতি কেকা ভট্টাচার্য বলেন সকলের আন্তরিকতার ফলেই এমন একটি অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনগুলিতে এভাবেই সবাইকে সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন এর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি সুভাষ বাবু বলেন, আমি অভিভূত, সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন এর এমন এক মহতি অনুষ্ঠানের আয়োজনে। সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন হল সাহিত্যচর্চার এক অনন্য মাধ্যম।
আশীষ বাবু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে গুণীজনের মেলা বসেছে। আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি তারকার মেলায়।
সব মিলিয়ে এ দিনের অনুষ্ঠানটি ছিল মনে রাখার মত। উপস্থিত সকল গুণীজনেরা আপ্লুত ও অভিভূত। তাঁরা বলেন, সম্পাদক সুব্রত পৈড়া সহ সুন্দরবন সাহিত্য নিকেতন এর সকল কর্মকর্তার আন্তরিকতায় তাঁরা অত্যন্ত মুগ্ধ। এবং এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে তাঁরা ভীষণ খুশি।