বিদ্রোহের আরাধ্যা
————————–
পোড়া রোদে, কাঁদা মাখা পথে,
স্বপ্নে রং ধুয়ে গেছে সবুজ সবুজ চোখে।
চপ্পলের এনার্জি হয়েছে কাবু,
ছিঁড়ে গেছে পথ, পথে পথে ঘুরে
স্বপ্ন আঁকা বায়োডাটা বুকে কর্মী দুটো হাত।
বুকের ভিতর দগদগে প্রতিবাদ,
চাকরি চাই, ভিক্ষা নয়—
এ আমার শিক্ষিত অধিকার।
কথাগুলো দামিয়ে রাখে কে যেন বারবার।
বাবা চুপ করে দাওয়াই বসে,
চোখে তার ক্লান্তি, মুখে বিস্ময় কষে।
মা ঠাকুর ডাকে তবে বিষাদ কণ্ঠে,
প্রার্থনা নয় এবার চাই বিদ্রোহী আরাধ্যার!
পাশের রাস্তায় রমেশ কাকু চিৎকার করে বলে,
আমারও ছেলে, তারও জীবন ধ্বংসকার।
কতদিন শুধু মুখ বুঁজে সইবো,
এসো এবার রুখে দাঁড়ায় ঠুঁটো দেবতার ঘর।
আবারো কথাগুলো দমিয়ে রাখে কে যেন বারবার। স্বার্থান্বেষী সমাজের হবে কি কোনদিন স্বার্থ ছাড়া উদ্ধার..?
——————–
কতটুকু পেলে
——————–
ফালতু জ্ঞান ব্রেনের কুঠুরিতে ঢোকাতে নারাজ। আঁতকে ওঠা বিস্ময়বোধের গুদাম পচা হিজিবিজি, মানুষগুলো
কতটা সভ্য, কতটা দরকারি, কতটা আদর করে রাস্তাঘাটে কুকুর-বিড়ালের মতো, মানসিক চাহিদার কারণে, সেদিকে নাইবা বাড়ালাম প্রদক্ষিণীর হাত।
যে জ্ঞান আমার কাছে নিষ্প্রয়োজন, সেই জ্ঞান তোমার কাছে চাহিদা মেটায়, মিটুক, তা ক্ষতি কী আমার..!
মানুষত্বে থাক তবে বিবিধ জ্ঞানের ফিরিস্তি।
কাগজ-পেন্সিল ফরদে হিসেব করে দেখো, যদি বিবেক থাকে, কতটুকু পেলে শেষ পর্যন্ত।
তোমাকে ধিক্কার জানাই না, তোমাকে তোমার পথে স্বাগত জানাই। দূর থেকে আরো দূরে জানাই হাজার সালাম।
————————————–
কবি জাসমিনা খাতুন,
রামপুরহাট, বীরভূম, ভারত।