ভারত সংবাদদাতা:
২২ মার্চ রবিবার ২০২৫ ২১রমজান প্রত্যেক মোমিনের বেদনাদায়ক ঐতিহাসিক১৯ শে রমজান শাব-এ-জারবাত হযরত আলী (রাঃ)। ৪০ হিজরির ১৯ শে রমজান কুফার মসজিদের মেহরাবে ফজরের নামায আদায়কালে এক বিষমাখানো তরবারির দিয়ে নরপিশাচ, মুনাফিক, আবদার রহমান ইবনে মুলজাম (তার ওপর আল্লাহর ল্যানত) মওলায়ে কায়নাত আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) এর মাথা মোবারকের ওপর মারণাঘাত হানে। ফলে ২০ রমজান দিবাগত রাতে অর্থ্যাৎ ২১ শে রমজানে মৌওলা শাহাদত বরণ করেন। অনন্তকাল আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক মাওলা আলী (রাঃ) সকল শত্রুদের উপর।কাবাগৃহে জন্মগ্রহণের সৌভাগ্য অর্জনকারী মওলা পাক, কুফা মসজিদের মেহরাবে যখন অভিশপ্ত ইবনে মুলজিমের বিষাক্ত তরবারী তাঁর কপালে আঘাত হানল তখন তিনি একটি বাক্যই বলেছেন কাবার প্রভুর শপথ! আমি সফল হয়েছি- শাহাদাত আমার জন্য সফলতা।”
মৌওলা মুশকিল কুষা হজরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর শাহাদাত পাক উপলক্ষে ২১ রমজান মেদিনীপুর বাজমে হাসনায়ন হুসেইনী এমাম বারগাহপাক এর পক্ষ থেকে একটি বিশাল জুলুস পাক মেদিনীপুর শহরে বাহির হয় । মেদিনীপুর খানকাহ শরীফে জুলুস পরিক্রমা করে হজরত চন্দন শহীদ (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণ হয়ে তাল পুকুর, মির্জামহল্লা এমাম বারগাহ হয়ে জোড়া মসজিদের পাশে সমাপ্ত হয়। এই জুলুসে এলাক সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ অংশগ্রহণ করেন (সাবাবে দারায়ন ও নায়ামতে কৌনায় হাসিল করেন) মৌওলা আলীর আঃ এর ভালোবাসার উদ্দেশ্যে। উক্ত আলম শরীফে (শোক মিছিল) উপস্থিত হয়ে মার্শিয়া ও নোহা পাঠ করেন সৈয়দ আফতাব হোসেন আল-হুসেনী, সৈয়দ আলতাফ হোসেন আল-হুসেনী, সৈয়দ মিনহাজ হোসেন আল-হুসেনী সৈয়দ আশিক হোসেন আল-হুসেনী সৈয়দ আতাউর বারি আল কাদেরী, সৈয়দ আনোয়ারুল বারি আল কাদেরী, সৈয়দ আবরার হাসান আল হুসেইনী, সৈয়দ ঈশা আলী সিনান, সৈয়দ আবিদ আলী আল হুসেইনী ও আল হাজ আব্দুল রাসেদ। আলমে সালাম পড়েন পীরজাদা কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইন জিবি রাওজা আকদাসের পীরসাহেব
জনাব সৈয়দ সাহ জুলফিকার আলী আল কাদেরী, পরিশেষে দোওয়া করেন রাওজা আকদাসের পীরসাহেব সৈয়দ শাহ মুতারশিদ আলী আল-কাদেরী। সকল জুলুসে অংশগ্রহণ কারি প্রায় ৫০০ জন রোজা দারদের ইফতার ও তাবারুক পরিবেশন করা হয়। মাগরিবের নামাজের পর অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা হয়।