ভারত সংবাদদাতা:
২২ শে মার্চ শনিবার বিকাল তিনটা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র ‘ঐক্যতান’ সল্টলেকে অনুষ্ঠিত হলো বাঙালি বিশ্বকোষের প্রচ্ছদ উন্মোচন সহ ৫০ জন পাবলিশার্স কে নিয়ে পৃথ্বীরাজ পাবলিশার্স সংবর্ধনা।
অনুষ্ঠানে প্রথমেই জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া এবং যুব বিভাগের ডেপুটি ডাইরেক্টর শ্রী দিলীপ কুমার বিশ্বাস। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কবি ও শিশু সাহিত্যিক আব্দুল করিম যিনি এই বাঙালি বিশ্বকোষের প্রধান সম্পাদক। আব্দুল করিম তার বক্তব্যে বলেন ৫২ টিরও বেশি দেশ বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আমাদের বাঙালি বিশ্বকোষে যুক্ত হয়েছেন এবং তিনি দাবি করেন ভারত সরকারের কাছে পৃধীরাজ সেন কে পদ্মবিভূষণ সম্মানের সম্মানিত করা হোক।
দ্বিতীয় পর্বে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঝাড়খন্ড ময়ূরাক্ষী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার ঘোষ, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দ্বীপ্তি মুখার্জি, ড, আব্দুল রইসউদ্দিন, পৃথ্বীরাজ সেন, কবি সৈয়দা বেগম, আন্তর্জাতিক আমার ভারত পত্রিকার সম্পাদক শাকিল আহমেদ, আন্তর্জাতিক বাংলা কথা পত্রিকার সম্পাদক সোহেল আক্তার, প্রমুখ।
বিশ্বজনীন বাংলা ভাষা এই পত্রিকাটি ১৮০ জনের লেখা উন্মোচন করেন মঞ্চে উপস্থিত সকলেই বক্তব্যে বাঙালি বিশ্বকোষের ভূয়ষী প্রশংসা করেন ।এছাড়াও পৃথ্বীরাজ সেনের প্রায় দশটি বই প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে আসাম ত্রিপুরা উড়িষ্যা বিহার ঝাড়খন্ড বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কবি বিশ্বরূপা ব্যানার্জি সহ ৪০ জন কবি কবিতা পাঠ করেন ,অনেকেই বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীর কন্ঠে সঙ্গীতের মাধ্যমে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান সভা কক্ষ। উপস্থিত সকলকেই সম্মানিত করা হয় বাঙালি বিশ্ব কোষের পক্ষ থেকে। বাঙালি বিশ্ব কোষের সূচনা হয় মাত্র আট মাস আগে, এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছেন বাঙালি বিশ্বকোষে। আমরা চাই দু হাজারেরও বেশি মানুষের জীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বাঙ্গালীদের বাংলা ভাষাভাষীদের তাদের জীবনী নিয়ে রচিত হোক এই গ্রন্থটি। বাঙালি বিশ্বের এক নতুন দিগন্ত হবে বাঙালি বিশ্বকোষ প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট উন্নত হয়ে উঠবে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের যোগা যোগের মধ্য দিয়ে। কবি নিমাই চাঁদ হালদার কে একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বাঙালি বিশ্বকোষের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।উপস্থিত কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন মনোরঞ্জন হালদার পশুপতি বিশ্বাস, রেখা মৈত্র, সামসাদ বেগম, ইউসুফ মোল্লা, মাহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, দেবদুলাল মাইতি, সোহিনী চক্রবর্তী, রাফিয়া সুলতানা, করুণাময়ী রায়, করুণাময় বিশ্বাস, গৌতম বারিক, নীতিশ রঞ্জন দাস, দেবব্রত মাইতি, কৌশিক সিংহ, রবীন্দ্রনাথ দোলুই, এস এম মফিজুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রায় ৩৫০ জন মানুষের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে সভাকক্ষ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিয়া ঘোষ।