চণ্ডীদাস আর রজকিনী
চণ্ডীদাস আর রজকিনী
হলেন অমর প্রেমের জন্য
সেই প্রেমেরই কথা শুনে
বলি মোরা ধন্য ধন্য
রজকিনীর রূপের মোহে
গেলেন কবি পুকুর ঘাটে
পিরিত রসে মজে শেষে
এলেন রামী তাহার বাটে
যে পিরিতে রাধারাণী
হয়ে ছিলেন কলঙ্কিনী
সেই পিরিতেই মজে ছিলেন
চণ্ডীদাস আর রজকিনী
পিরিত মাঝে সবাই সমান
জাতির বিভেদ নেইতো সেথা
প্রেমের জীবন বড়োই মধুর
মনের দ্বিধা নেইকো হেথা।
সমাজ শাসন তুচ্ছ করে
গেছেন তারা বৃন্দাবনে
সকল বাধা ঠেলে ফেলে
মিশেছিলেন প্রেমের মনে।
বৈশাখ
এসো হে বৈশাখ নূতন রূপেতে
সনের সূচনা ক্ষণে
উঠুক গগনে বৈশাখী তপন
আশারা জাগুক মনে।
সাফল্য আসুক সবার জীবনে
ইচ্ছেরা মেলুক পাখা
বৈশাখী আলোয় কুসুমে সাজুক
হৃদয় বিটপ শাখা।
মনের মাঝেতে জাগুক বিবেক
হিংসারা যাক মুছে
কর্মের জোয়ার আসুক প্রণেতে
অলসতা যাক ঘুচে।
আমার কবিতা
আমার জীবনে কবিতা এসেছে
সুখের সাগর নিয়ে,
সেই সাগরে ভাসছি এখন
তার পরিচয় দিয়ে।
বর্ষণ মুখর পিছল সড়কে
যখন ছিলাম একা,
মেঘলা আকাশে দিবাকর হয়ে
কবিতা দিয়েছে দেখা।
কবিতাতে আমি পেয়েছি সম্মান
দেখেছি নূতন আলো,
কবিতা আমার আসল সুজন
তাকেই বাসি ভালো।
এলো ফাগুন
ধরার মাঝে এলো ফাগুন
ফুলকলি দের নিয়ে,
বসন্ত আজ রাঙিয়ে দিলো
দোলের আবীর দিয়ে।
অশোক পলাশ কৃষ্ণচূড়া
ফুটলো গহন বনে,
কিসের নেশা লাগলো যেন
প্রজাপতির মনে।
বনানী আজ মাতলো দেখি
কাকলীর ওই স্বরে,
দুষ্টু কোয়েল কুহু রবে
ডাকছে কাহার তরে।