কলকাতা প্রতিনিধি-আসাদ আলী
গত ২৩শে ডিসেম্বর নদিয়া জেলার রানাঘাটের কবিতীর্থ আনুলিয়ায় সারাদিনব্যাপী মফস্বল বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি আকাদেমি ট্রাস্টের সাহিত্য সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন হল প্রায় ৮০ ৯০ জন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক প্রমুখ গুণীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন পর্বে দক্ষ সঞ্চালনায় ছিলেন ডঃ সুজিত কুমার বিশ্বাস, ডঃ নানক নাথ, তনিমা মুখার্জী, ডক্টর সীমা রায়, সুবোধ দেবনাথ প্রমুখ। গুণী ব্যক্তিত্বের মুন্সিয়ানায় রংধনু এই অনুষ্ঠানটি রাঙিয়ে দেয় স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রায় শান্তিনিকেতনী পরিবেশে মুক্ত মঞ্চে কবি দেবোকি দুলাল চক্রবর্তী ও শিক্ষক তাপস মিত্র দ্বয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ঘটে। এই অনুষ্ঠানে মফস্বল বাংলা অ্যাকাডেমীর প্রকাশন বিভাগ থেকে ১১ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ও চিকিৎসক আসাদ আলীর ‘প্রাচীন প্রাসাদে গুপ্তধন’, এটি একটি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস হলেও এটি আর পাঁচটি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসের মতো নয় মোটেই, অ্যাডভেঞ্চারের সমস্ত উপকরণের সাথে সাথে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্প্রীতির পক্ষে, মানুষে মানুষে বিভেদের বিরুদ্ধে মিলনের গান, সংবেদনশীলতার এক মহৎ আলোকবর্তি কার হাতছানি অথচ পরতে পরতে রহস্য। গ্রন্থটি প্রকাশ করেন শিক্ষক কবি ও প্রবন্ধকার মোঃ মফিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট কবি ও ক্ষেত্র গবেষক অচ্যুত প্রামাণিক, ও মফস্বল বাংলা একাডেমীর সভাপতি হরিসাধন জোয়ারদার। এই অনুষ্ঠানে ১০ জন কবিকে তাঁদের নির্বাচিত গ্রন্থের জন্য সরস্বতী রায় স্মৃতি সম্মান প্রদান করা হয়। ১২ জন কবি পান বাংলা একাডেমী সম্মান। বাকি সমস্ত কবিকে ১১ তম বার্ষিক সম্মানে সম্মানিত করা হয়। প্রত্যেক গুণীজনকেই গোলাপ ব্যাজ উত্তরীয় ও সুদৃশ্য মেমেন্টো দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সমস্ত কবি কবিতা পাঠ করেন এবং বক্তব্য আলোচনা রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন একাডেমী সভাপতি কবি হরিসাধন ও সম্পাদক হৈমন্তী জোয়ারদার।