কলমে: স্বপন কুমার ধর
একটা কবিতা বইছিল নদীতে,
স্রোতের মাথায় চড়ে,
চলতে চলতে মিশে গেল শেষে,
মোহনায় সাগর পারে।
একটা কবিতা পাহাড়ের চূড়ায়,
উঠবে ভেবেছিল,
চূড়ায় উঠতে না পেরে শেষে,
স্বপ্নে ভঙ্গ দিল।
একটা কবিতা উড়ল আকাশে,
মেঘের মাথায় চড়ে,
দমকা বাতাসে সরে যেতেই মেঘ,
পড়ল ধপাস্ করে।
একটা কবিতা বর্ষায় ভিজে,
হয়েছিল সেই সিক্ত,
সর্দি কাশির পথ্য সেবনে,
শেষে হয়েছিল রিক্ত।
একটা কবিতা চাঁদকে নিয়ে,
ভেবে সারাদিন,
লিখলাম যখন, হোল তখন,
কেবলই অর্থহীন।
একটা কবিতা অমাবস্যার রাতে,
খুঁজে পাচ্ছিল না রাস্তা,
জোনাকি এসে পথ দেখিয়েছিল,
ছেড়ে সমস্ত ব্যস্ততা।
একটা কবিতা আনন্দে ভরা,
সবাই মজা পায়,
সামনের বাড়ীর সারমেয়টা ও,
শুনে লেজ নাড়ায়।
একটা কবিতা দুঃখে লেখা,
শুনে চোখ ছল্ ছল্,
মায়ের কাছে শিশু ঘুমোলে ও,
চোখে তার থাকে জল।
একটা কবিতা ওড়ায় ঘুড়ি,
ভাদ্র মাসেতে,
সবাই দ্যাখে ঘুড়ি ওড়ানো,
বসে মাদুরে তে।
কবিতা আসলে মনের ভাব,
লেখেন কবি বসে,
ভাবনা, চিন্তা, কল্পনার মিশ্রণ,
প্রকাশ পায় অবশেষে।