মতিয়ার রহমান, কলকাতা থেকে:
গত ৮ অক্টোবর কল্লোলিনী তিলোত্তমা কলকাতার গঙ্গাপুরি শিক্ষা সদন (ফর গার্লস) সভা কক্ষে ভারত বাংলাদেশ নেপাল ইতিহাস মঞ্চের ষষ্ঠ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মিলনোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সান্ধ্যকালীন মিলনোৎসবে প্রায় শতাধিক সাহিত্য সংস্কৃতি ও ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ভারতীয় শাখার সভাপতি কবি ও সুসংগঠক তারকনাথ দত্ত। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শিপ্রা সেনগুপ্ত, তবলায় সঙ্গত করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক তারকনাথ সাহা। সভায় স্বাগত ভাষণ দেন তারকনাথ দত্ত।
ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের তথা দুই বাংলার সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় করার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন ভারত বাংলাদেশ নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ গবেষক সহেল মহম্মদ ফখরুদ্দিন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ সুবক্তা শিক্ষক আবুল হোসেন, ত্রিপুরা থেকে এসেছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড দেবব্রত রায়, তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ত্রিপুরায় গুরুদেব কবি রবীন্দ্রনাথের আগমন বিষয়ে একটি চমৎকার প্রতিবেদন দর্শক সাধারণের সামনে পেশ করেন। সংগঠনের বীরভূম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অণুগল্পকার ও ভ্রামণিক মতিয়ার রহমান জানান যে, বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা আমাদের অহংকার। অবিভক্ত ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা আমাদের ঐতিহ্য। এমন বহু ঐতিহাসিক ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে অবহেলা অনাদরে --- আমাদের প্রিয় সুসংগঠন ওই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনুক দাবি মতিয়ার রহমানের।
সভায় মেট্রো রেলের প্রাক্তন ডি জি এম প্রত্যুষ ঘোষ, বিশিষ্ট কবি সম্পাদক সাংবাদিক ও লালন গবেষক বরুণ চক্রবর্তী, কবি গল্পকার রূপ কুমার পাল, বাংলার রেনেসাঁ পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গঙ্গাপুরি শিক্ষা সদনের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নাচে গানে কথা কবিতায় সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানে শতাব্দী বিশ্বাসের নাচ, নমিতা দেব, অন্তরা দাশগুপ্তের কবিতা দর্শক সাধারণের হৃদয় মন জয় করে নেয়।
অতিথিদের ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের সদস্য সদস্যারা। সোহেল মহম্মদ ফখরুদ্দিন, আবুল হোসেন, প্রত্যুষ ঘোষ, ডঃ দেবব্রত রায়, মতিয়ার রহমানকে একটি সুদৃশ্য স্মারক সম্মাননা সনদ তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি তারকনাথ দত্ত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শর্বাণী ম্যাডাম।