কলমেঃ মোহাম্মদ সাগর
বর্তমানে পরকিয়া একটি ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত এটি এমন একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে যেটার প্রভাব সারা পৃথিবীতে। এই পরকিয়ার কারনে হাজারো নারী পুরুষ আজ সংসার বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। কেননা পরকিয়া করে কেউই কোনো কালে সুখী হতে পারে নাই। কোনো না কোনো সময় এর অভিশাপে পরকিয়ায় আসক্ত ব্যক্তি থেমে যায়। কেননা এই পরকিয়ার কারনে অনেকেরই ছেলে মেয়ে এতিমের মতো বড় হয়। এবং এই ক্ষেএে মা বাবা দুইজনকেই সন্তানের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হয়।
বিশেষ করে এই পরকিয়ায় আসক্ত হয় বেশিরভাগ প্রবাসীর বউ আর চাকরি জীবির বউ। এবং এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অর্থলোভী নারী এবং প্রবাসী পুরুষ পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে থাকে। সাধারণত একজন প্রবাসী দেশে ফিরতে ৩-৪ বছর লেগে যায়। আর ঔ প্রবাসীর স্ত্রীই কিন্তু পরকিয়ায় আসক্ত হয়।এবং এক সময় দেখা যায় কি ঔ প্রবাসীর বউ এর অবহেলায় পড়ে সে প্রবাসী ও পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। তাছাড়া কিছু সংখ্যক প্রবাসী এটাকে মেনে নিতে না পেরে আত্ম হত্যার পথও বেঁচে নেয়।
অপরদিকে অর্থলোভী নারী এবং চরিত্রহীন নারী সে তার স্বামী ব্যতিত অন্য পুরুষে আসক্ত থাকে এবং স্বামী থাকা সত্বেও সে পরকিয়া করে। এবং কি একাদিক পরকিয়াও লিপ্ত হয়।
একটা কথা বলতে দেখা যায় কি বর্তমান যুগে এই পরকিয়া করার মাধ্যম হচ্ছে স্মার্ট ফোন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো। এগুলা মাধ্যমে পরকিয়া টা সহজ হয়ে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহারের ফলে বর্তমান সমাজে পরকিয়াটা বেড়ে চলেছে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ করলে দেখা অনেক মানুষ ই এই সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে সম্পর্কে জড়ায়। যা অতি সাধারণ হয়ে পড়েছে।
তাই প্রত্যেকের ই প্রয়োজন নিজে এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে এই পরকিয়া থেকে বেরিয়ে আসা। কেননা পরকিয়া সাময়িক সুখ দিলেও এটা দীর্ঘ হয় না।
এটার প্রভাব আসবেই। তাই এটাকে বর্জন করে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস আর ভরসা রেখে জীবন গড়ে তুলতে হবে। এবং স্বামী স্ত্রী উভয় একে অপরকে সময় দিতে হবে। সবকিছু স্বামী স্ত্রী দুজ দুজনকেই প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই এই পরকিয়া থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।