চা হবে বাবা? চা হবে বাবা?
বলিয়া এক ভিখারি ফিরছে দোকান দোকান।
হঠাৎ আমার নজর পড়িল অসহায় ভিখারির মুখখান। জীর্নসীর্ন মুখের বরন চোখখানি গেছে তলিয়ে
পুরনো কাপরের সাথে দেহের হয়েছে মিশ্রণ।
চক্ষে পড়িল হাতের পুটলি স্টেশনে রাখিয়া
হাঁকিছে বাবা বলি।
খুঁজতে খুঁজতে পেয়েছে চা নিয়ে চলে সে পুটলির কাছ। কি দিয়ে কি করবে মন পায়না আমার বুঝ।
ঠোলা থেকে বের করল মুড়ি দিয়ে দিল গরম চায়ে চুবানি। সে দিয়ে তাহার ভরবে না পেট একথা মোর মনে গেঁথেছে বেশ।
ভিখারির এমন অবস্থায় দেখিয়া মনে লাগিল ব্যাথা।
দূর পানে চেয়ে দেখি মুদির দোকান রয়েছে হেথা।
চট করে নিয়ে এলাম রুটি। বাড়িয়ে দিলাম রুটিখানি তাহার মুখ পানে। তাহার নয়ন চাইয়া রইল আমার নয়ন পানে। রুটিখানি তাহার পাশেই রাখিল বলিলাম দোয়ায় রাখিয়েন আমায়।
এ কথা বলিলে নয়ন তাহার ঝরে অবিরত।
করিয়াছে তাকে শোষণ বানিয়েছে পথের ভিখারী কেউ নয় তাহারী আপন সন্তান। বাড়িয়ে দিল দুখানা হাত আমার মাথার পানে দুআ নিয়ে দূরে গিয়ে বেঞ্চে বসে শুনতেছিলাম তাহার ছেলের শোষণের আহাজারি।