লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে কবে? ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ এর পর অনেকে ভাবলো শান্তির সুবাতাস বইলো, কেউ উম্মাহ প্রকাশ করলো এ-ই বলে," শিকড় হীন গাছ দাড়াতে পারে না!" আমরা যারা একটু চোখ-কান খুলে দেখি তারা ভাবলাম শিকড়হীন নয়, পিছনে বিশাল বাহিনী দেশী এবং আন্তর্জাতিক! যে দলটা দেশ চালাচ্ছিলো তাদের বরং অসহায় নির্বোধ কাক মনে হলো! তাদের বাসায় ডিম পেড়ে কোকিলের বাচ্চা বড় হলো কাক জানে ই না! খুঁজে পেলাম না আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, তাতী লীগ, নৌকা প্রতীকের ইউপি চেয়ারম্যান , উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা চেয়ারম্যান,
৩৫০ জন সাংসদ, প্রায় ৪৫ জন মন্ত্রী, ৬ জন উপদেষ্টা কেউ নেই কোথাও!
প্রিয় পাঠক, কেন আওয়ামী লীগের কোন নেতা রুখে দাড়াতে পারলেন না কারন কেউ দল করেন নাই, সংগঠনর ধার ধারেন নাই, জনগন ক্ষমতার উৎস ভাবেন নাই, সাংসদ U N O কে দলের সভাপতি ও O C সাহেব কে জেনারেল সেক্রেটারি করে ঠ্যাংগাড়ে বাহিনী হেড করেছেন! অনেক সাংসদ এলাকার জনগণের সাথে দেখাও করতেন না! একজন ততকালীন O C আমাকে এমন কথাগুলো বদলি হওয়ার সময় বলেছিলেন!
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে ২২ টা লাশ পড়ে থাকা অবস্থায় খন্দকার মোশতাক চেয়ারে বসেন এবং বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়িতে পড়ে থাকা অবস্থায় মোস্তাক মন্ত্রী সভার ২৯ সদস্যের ২৫ জন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতাধর মন্ত্রীরা যারা ১৪ ই আগষ্ট ও বঙ্গবন্ধু কে বলেছেন, "আপনাকে কেউ ছুঁইতে চাইলে আমার লাশের উপর দিয়ে তাকে যেতে হবে!" এবার ৫ ই আগষ্টের পর তেমন কেউ ডঃ ইউনূসের মন্ত্রী সভায় এখন ও শপথ নেন নাই হয়তো ডাক পান নাই!
যাক সেকথা, এখন কি স্বৈরাচারী আচরণ আছে? সবকিছু কি গনতান্ত্রিক ভাবে হচ্ছে? আদালতে অমুকের পক্ষে দাড়ায় কোন উকিল যুক্তি দিলে তার জীবন কি নিরাপদ, প্রায় দু’হাজার শিক্ষক চাকুরী হারালেন কি গনতান্ত্রিক ভাবে? অনেকে চাকুরী চ্যূত হচ্ছেন কি নিয়ম মাফিক অর্থাৎ যে আমল কে আমরা স্বৈরাচার আমল বলছি তার থেকে আলাদা সূর্য রশ্মি কি ঠিকরে বের হচ্ছে নাকি নতুন বোতলে পুরাতন মদ ঢালা আর কিছু জীবন দেয়া! দেশের শ্রমিক অসন্তোষ শান্ত হয়েছে, আনসার ভিডিপি রা কি সরকার অনুগত হয়ে কাজ করছেন, গ্যাস বিদ্যুৎ নিশ্চয়তা, নেট সমস্যা এখন ও এলাকা বিশেষ বিরক্তিকর! সংখ্যা লঘূ সহ প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার মানুষ গুলো কি নিরাপদে বাইরে যেতে পারছেন? দেশ অস্হির যেখানে বিদেশকে অস্হির করার কি দরকার?
বাংলাদেশে প্রায় ১২/১৪ টা ইসলামি রাজনৈতিক দল আছে, বৌদ্ধ খৃষ্টান ধর্মীয় প্রচার সংঘ আছে, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ আছে, উগ্র কিছু দল হয়তো চলছে ঢিলে ঢালা ভাবে, তা হলে সনাতন ধর্মপ্রচারক "ইসকন" মন্দির সাধু "চিন্ময় কৃষ্ণ" কে রাষ্ট্রদোহী বলছেন কেন আর একজন ধর্মপ্রচারের দলের সহসভাপতি "জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আঃ রব ইউসুফী সমমনা আরো ৫/৬ টা দলের পক্ষে ২৮ শে নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে গ্রেফতারের দাবী তুলছেন কেন? ধর্মীয় দল করা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা ?
বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাস্ট্র হচ্ছে " নেপাল", সখানে ৫% মুসলমানদের জন্য প্রায় ৪৩০ টা মসজিদ আছে সেখানে ধর্মীয় বয়ান, আলোচনা, প্রচার হয়! সারা বিশ্বে ২৫ লাখ মসজিদের ভারতে প্রায় ৩ লাখ মসজিদ আছে। বাংলাদেশে ও ৩ লাখের মত মসজিদ আছে! বিশ্বে সর্বপ্রথম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাওয়া দেশ হলো পাকিস্তান, সেখানে বাংলাদেশ ভারত থেকে মসজিদ সংখ্যা কম!
মাননীয় সরকারের কাছে অনুরোধ, দেশে স্থিতি স্হাপন, জনগনের জীবন আতঙ্ক দূর সহ দ্রব্য মূল্যের নাভিশ্বাস থেকে জনজীবন রক্ষা করুন, নতুন নতুন অশান্তির ইস্যু তৈরি না হোক সেটা কঠোর দৃষ্টিতে আনুন, দেশ বাচুঁক মানুষ বাঁচুক!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।