মুই কহেছু না করং বিয়া,
আরো দুইটা বছর যাক।
অন্য পাকায় ঘটক মিয়া,
বারবার দিছে হাক।
একনা ভালো চেংরা আছে,
পঞ্চশ বিঘা ভুই,
বাপের একনাই বেটা ওয়,
অভাব পাবনি কিছুই।
পড়াশোনা শেষ করিবার,
বছর কয়েক হইছে,
দুই বছর আগত অর
মাও মারা গেইছে।
চেংরা গেনা বেশ সুন্দর,
দেখিতে ভদ্র বাবু,
পকেট ভরা টাকা থাকে,
বস হয়ে তুই যাবু।
বয়স একনা বেশি হবে,
আশির মতো ধরেক,
অর মতো চেংরাটাক তুই
বিয়া করিবু কহেক।
মুই এ্যাকল্লে শুনেই ফিদা,
হাসিবা ধুইচ্চু খুব,
ঘটক কহেছে কেনং চেংরি
এক্কেবারে চুপ?
ওমনে তখন চুপ করে
ঘটকের কথাত দিনু কান,
আরো কহিনু ঐড্যা চেংরাক
টপকরি তুই আন।
ঘটক মশাই পল্টু মিয়া,
চেংরাটাক যায় কয়,
এমন চেংরি আনি দিম তোক,
যেন সবার সেরা হয়।
পাত্র মশাই কহেছে ভাই,
আইজকায় নিয়া চ,
নেগাবো কিনা এই কথাডা
তাড়াতাড়ি মোক ক।
পল্টু মিয়া বাবাক সেলা
নাম্বারত দিল কল,
পাত্র সাহেব আইজকায় কহেচে
ঝটপট নিয়া চল।
আসিবা কহিল বাবা তখন,
আসিল হামার বাড়ি,
বৌ রূপে মোক দেখিবার তানে,
কিনে আইনছে শাড়ি।
শাড়ি খান মোর মনত ধুইচ্চে,
পিনধিনু ভালো করে,
লাল একটা টিপ দিনু,
যেন মনত ধরে।
পাত্র সাহেব দেখেছে মোক,
বারবার করে,
শয়তানি করে মুই ও তখন
চোখটা দিছু মারে।
মনে মনে খুব হাসিনু,
কান্ড গেনা করে,
এই লোকটা ঘুরায় পেচায়
যদি প্রশ্ন ধরে!
যাবার বেলা ঘটক কহিল,
পাত্র হামার রাজি,
যৌতুক ছাড়ায় বিয়া করিবে,
ডাকিম ঐদিন কাজি।
ভাবিনু সেলা, এত বড় জমিদার বাবু,
দিবেনি হামাক দাম,
সারাদিন সারারাত
করাবে খালি কাম।
মুই কহিনু ঘটক মশাই,
এই চেংরা কি চলে?
মোর মত জোয়ান পাত্র
আনেক জোগাড় করে।
জোয়ান হলেই করিম বিয়া,
না হলে ভাই নাই,
জোয়ান বয়সে জোয়ান চেংরা,
মোর কিন্তু চাই!