নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরলিপি পাবলিকেশনের উদ্যোগে কবি লেখক ও প্রকাশক লিপি আক্তারের আয়োজনে গত ১৫ ই মার্চ ২০২৫, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে "সর্ব জয়ী নারী সন্মাননা" প্রদান অনুষ্ঠান হোটেল রয়েল প্যালেস ফার ইস্ট টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৮ ই মার্চ ছিল নারী দিবস! নারী দিবস হচ্ছে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা দিবস যা ঘোষণা করেছিলেন একজন পুরুষ, সোভিয়েত ইউনিয়নের "লেলিন"!
নারী অধিকার টা কি? আমরা নারী, মানুষ না! ইংরেজ রা Man না বলে Women বলেছে! শিক্ষা-দীক্ষা চাকুরী শ্রম, যেখানে নারী যায়,তাকে আগে ভোগ্য দৃষ্টিতে দেখা হয়!বেতন-ভাতা ও চেষ্টা থাকে পুরুষের অর্ধেক দেয়ার! আমাদের উদ্দেশ্য আমরা নারী নই, মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে চাই! আজ নারী মঙ্গল গ্রহে যায়, বিমান চালায়, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, কবি সাহিত্যিক প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট হয়, কিন্তু 'নারী বৈষম্য' তার পিছু ছাড়ে না!
তাই নারী দিবসটা হচ্ছে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা দিবস। It is the Women rights movement day, I W D gives focus to issues such as Gender equality reproductive rights, violence and abuse against women!
আমার একটা কবিতার আংশিক এখানে তুলে ধরলাম!
নারীর কাব্যঃ
আমি ইতিহাসের চাঁদ সুলতানা
রাজ্য শাসনে ছিলাম সুলতানা রাজিয়া,
আমি বিজ্ঞানী মাদাম কুরি
জনসেবায় মাদার তেরেসা,
জ্ঞান তপস্যায় রাবেয়া,
জোয়ান অফ আর্ক
সম্রাজ্ঞী নূর জাহান,
নওয়াব ফয়েজুন্নেসা
ঝলসে ওঠা ঝাঁসির রানী!
আমি কৃষ্ণের রাধা
আজও সবার প্রিয় ডোরে বাধা,
মজনুর লাইলী, ফরহাদের শিরি
আমার জন্য ঘুরেছিলো কেউ বন
কেটেছিল কেউ পাহাড় গিরি!
আমি রামের সীতা
দিয়েছি অগ্নি পরীক্ষা,
দেবদাসের পার্বতী, ইউসুফের জুলেখা
আমাদের প্রেমের ইতিহাস
যুগযুগ আছে লেখা!
আমি রাণী ভবানী, রানী রাশমনি,
ইংরেজ কাপতো আমাদের নামশুনি!
আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমি বড় অসহায়
পাচ বছর বয়সে মন্দির মসজিদে ধর্ষন করে পুরাহিত আর মোল্লায়!
স্কুল কিম্বা পড়ি বিশ্ববিদ্যালয়
পিতৃতুল্য শিক্ষকও জ্বলে যৌন লালসায়!
প্রিয় পাঠক, বিশ্ব আজ মিশাইল পরমাণু যুগে প্রবেশ করেছে! কিন্তু নারী কি মানুষের মর্যাদা পেয়েছে?
নিজ ঘরে সে কি স্বামী নামক পুরুষ টার কাছে মান সন্মান বা মানুষ হিসাবে গন্য হতে পেরেছে?
একজন ধর্ষিত নারী প্রশাসন কিম্বা আদালতে গেলে, তিনি কি সহানুভূতি বা ন্যায্য আচরন পাচ্ছেন?
উকিল সাব জিজ্ঞেস করেন ধর্ষিতাকে, "ধর্ষকের হাত কোথায় ছিলো, শাড়ী পেটিকোট কামিজ ছিলো নাকি ফেলেছিলো ছুড়ে, ছিলে কি দিগম্বর? অধস্তনে ছিলো পেন্ট্রি, নাকি অন্তরবাস ফেলেছিলো ছুড়ে?
আপনি আদালতে যান এমন নোংরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে শুনবেন এজলাসে দাড়ানো অশ্রুসিক্ত " ধর্ষিতা কে!" কেন এমন নোংরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা, উদ্দেশ্য মামলা তুলে নেয়া, পালিয়ে বাঁচা, আরো বার-বার আদলতে উকিলের হাতে ধর্ষণের শিকার না হওয়া!
এমনি একবার ধর্ষিত নারীকে বার বার আদালত পর্যন্ত অপমান বলাৎকারের শিকার হতে হয়!
প্রশাসনে নারী পুলিশ তদন্ত কারী চাই, আদালতে নারী বিচারক চাই, সওয়াল জওয়াবে নারী উকিল বাধ্যতা মুলক চাই! তা হলে নারী কিছুটা বিচারের অধিকার পাবে বলে আশা করা যায় আমার ধারনা!
কবি দেবিকা রানী হালদার।