কলমে: প্রীতম দত্ত
আমি ২০২৩ সালে এইস এস সি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য গ্রাম থেকে চলে এসেছি শহরে খুলনা আর্ট একাডেমির শিক্ষক মিলন বিশ্বাসের কাছে।খুলনা আর্ট একাডেমি এমন একটি প্রতিষ্ঠান,যেখানে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের বিষয় বলি সম্পর্কেও শিক্ষা দেওয়া হয়।প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু স্বপ্ন থাকে মনের মধ্যে সারা জীবন থেকে যায় সেই লুকায়িত স্বপ্ন সম্পর্কে লিখতে চেষ্টা করি।কিন্তু আমি এই বিষয়টিতে কোনভাবেই সফল হতে পারছিলাম না।পরে আমি আমার শিক্ষক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস দৈনন্দিন জীবনের বিষয়গুলির উপর যে ক্লাস নিয়ে থাকে আমি সেখান থেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে লেখার ধারণা পেলাম আর আমি তখন থেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে লিখতে শুরু করি এবং এ বিষয়টি আমার কলমের কালির মাধ্যমে তুলে ধরলাম।
শিল্পসত্ত্বা হলো ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ খুব কম মানুষের মধ্যে এই সত্ত্বা থাকে। আমি সৌভাগ্যবান যে ঈশ্বর আমাকে এই সত্ত্বার অধিকারী করেছেন। ছবি আঁকতে আমি ভীষণই ভালবাসি।আজ পর্যন্ত যেটুকু শিখেছি নিজের চেষ্টায়। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চারুকলা নিয়ে পড়াশোনা করব কিন্তু পরিবার রাজি হয় নি। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সকলে বলল চারুকলা পড়ে কোন কিছু করা যায় না।তবে আমি হাল ছাড়িনি আমি আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের ভুল ধারণা থেকে বের করতে চাই যে শিল্পী হয়েও অনেক কিছু করা যায়। সমাজে শিল্পীদেরকে নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমি সেটিকে ভেঙে ফেলতে চাই। আমি চাই যেন আমার মা-বাবা আমাকে শিল্পী হিসেবে সমাজের কাছে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।আমি অনেকদিন ধরেই আমার মনের কথা লেখার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম এবং আমি এ বিষয়টি মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি আমার শিল্পগুরু চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের জন্য।এজন্য আমি আমার শিল্পগুরুর এর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।আমাকে সবাই আশীর্বাদ করবেন আমি যেন ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পারি,আমি যেন আমার দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি এবং সৎ পথে থেকে পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি এবং আমি একজন নবীন আমার লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষ্যতে আবারো নতুন কোন সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।