বাবা।।
বাবা তোমার হাতটি ধরে
পথ চলা মোর শুরু,
বাবা তুমি এই জীবনের
সর্বপ্রথম গুরু।
বাবা তুমি আশার আলো
আমার সকল সুখ,
বাবা তোমায় দেখলে আমি
ভুলি সকল দুখ্।
বাবা তুমি রোজ নিশিতে
চাঁদের মৃদু হাসি,
সত্যি আমি বাবা তোমায়
অনেক ভালোবাসি।
ফুল বাগিচা।।
কুসুম বাগে ফুল ফুটেছে
আয়রে শিশুর দল,
সেই বাগিচায় ফুল তোলিবো
চল্ রে সবাই চল্।
সেই বাগিচায় রং-বেরঙের
ফুল তুলিবো সবে,
সে ফুল দিয়ে নিত্য-নতুন
গাঁথবো মালা তবে।
বাগান মালিক করিম দাদু
আসবে যখন তেঁড়ে,
আমরা তখন পালাবো সব
ফুল বাগিচা ছেড়ে।
ওই পাঁজিরা, দাঁড়া তোরা
ছিঁড়লি কেন ফুল?
ও দাদু গো, মাফ করে দাও
হয়ে গেছে ভুল।
তোদের সবার কান টানিবো
আয় এদিকে আয়,
পালাও সবাই এখান থেকে
রক্ষা যে আর নাই।
মক্তব।।
রোজ-প্রতিদিন আঁধার কেমটে
রাত্রিটা ভোর হলে,
পাড়ার শিশু কুরআন বুকে
মক্তবে যায় চলে।
কচি ঠোঁটে কোরআন পড়া
কী সুমধুর হায়!
মন মাতানো সুরের তানে
প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
যেই শিশুরা প্রভুর কালাম
কুরআন শিখে রোজ,
কুরআন শিখে পাবে তারা
সঠিক পথের খোঁজ।
তারা জানে, এক হরফে
দশটি নেকি পায়,
যে নেকিটা কুরআন ছাড়া
অন্য কোথাও নাই।
যে শিশুরা নিদ্রা ছেড়ে
শিখে আল কুরআন,
সেই শিশুদের পিতা-মাতাও
বড়ই ভাগ্যবান।
কুরআন শিখে তদনুযায়ী
আমল করলে আজ,
রোজ হাশরে কুরআন হবে
তাদের মাথার তাজ।
প্রজাপতি।।
ফুল বাগিচায় দেখ হাজার
প্রজাপতির মেলা,
এ ফুল থেকে ও ফুল উড়ে
কাটায় সারাবেলা।
আপনাকে সে ভুলে শুধু
ফুলের পিছে ছুটে,
ফুলের সুবাস নিতে তাহার
ক্লান্তি নাহি বটে।
ফুলের খোঁজে প্রজাপতি
ছুটছে কুসুম বনে,
ফুল পেলে সে মহা খুশি
উড়ে মুক্ত মনে।
ফুলের মাঝে প্রজাপতি
কী-যে সুধা পায়,
যাহার লাগি সারাক্ষণই
তাকেই পেতে চায়।
আনন্দে সে আত্মহারা
মন মাতানো ঘ্রাণে,
ফুলের মাঝে কী-যে সুধা
সে-ই বুঝি তা জানে।
ফিরে এসো রবের দিকে।।
আত্মভোলা মন রে আমার
করবে গুনাহ কত!
রবের দিকে ফিরে এসে
সিজদাতে হও নত।
ডাক আসিলে যেতে হবে
মায়ার বাঁধন ছাড়ি,
ভোগ-বিলাসের এই দুনিয়া
দিতে হবে পারি।
সাথী ছাড়া, বাতি ছাড়া
থাকবে আঁধার ঘরে,
সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
থাকবে একাই পড়ে।
তাই বলছি, গুনাহ ছেড়ে
প্রভুকে নাও খুঁজি,
থাকতে সময় বানিয়ে নাও
আখেরাতের পুঁজি।