গাঁয়ের ক্ষেতে ধান ফলেছে
কৃষক খুশি ভারি,
কর্তার কাছে বায়না ধরি
কিনে দাও না শাড়ি।
লাল পেড়ে রঙ ঝিলমিল সুতা
চোখে ধরে ধাঁধা,
ফর্সা গায়ে মানাবে বেশ
লোকে বলবে রাধা।
ধান বেচে আজ কিনেই ফিরবে
আলতা,নোলক,চুড়ি,
সাজবো আবার নতুন বঁধু
মন হরষে ঘুরি।
নতুন ধানের খই ভেজে আজ
ভরে রাখবো হাঁড়ি,
বাজার থেকে দই এনো গো
খাইবো যত পারি।
জীবন গড়ি রঙ-মহলে
দিলটা করো সাদা,
আধা বয়স গেলোই বুঝি
আর আছে গো আধা।
শিশির কন্যা রূপে অনন্যা
এলো গুটি গুটি পায়,
সবুজ পাতায় ঘাসের মাথায়
আগমনী গান গায়।
ভোরের আকাশে মিষ্টি বাতাসে
ধানের সুবাস বয়,
হেমন্ত এলো আঁখি দুটি খোলো
কৃষকের নাই ভয়।
ধানের গন্ধে কাব্য ছন্দে
বাতায়ন খুলে দাও,
হিমঝুরি বাঁকে বনফুল ডাকে
মল্লিকা তুলে নাও।
শিউলি, কামিনী তুলেছে যামিনী
খোঁপায় ছাতিম ফুল,
আহা!রূপবতী ছড়ালো যে জ্যোতি
শর্পিলা বেণী চুল।
পাকা ধান মাঠে জনে জনে কাটে
হৃদয়ে হরষ বান,
আঙিনায় তোলে দুখ যত ভোলে
এ যে বিধাতার দান!!
ঝিলমিলিয়ে রবির কিরণ
পরশ বুলায় গাঁয়ে,
ঋতুর ভাঁজে শরৎ এলো
আলতা রাঙা পায়ে।
কমল ফোটে দিঘির ঝিলে
কি চমৎকার লাগে,
ইছামতী ঠাঁই দাঁড়িয়ে
গভীর অনুরাগে।
ফুল ফুটেছে কাশের বনে
ফুল অলিরা নাচে,
বক পাখিরা উড়ে উড়ে
সুখ নীড়ে তাই বাঁচে।
পদ্ম ভাসে শাপলা হাসে
শিশির ভেজা জলে,
বাইম -মাগুর সাঁতার কাটে
কলমিলতার তলে।
পাল তোলা ওই নাও বাইয়া যে
গান গেয়ে যায় মাঝি,
হাটের মানুষ যায় রে ঘাটে
কিনবে পণ্য আজি।
নীল গগনে সাদা পালক
ছড়ায় ছিটায় থাকে,
অপরূপা মনোহরা
শিল্পী ছবি আঁকে।