কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
নারীর ষোড়শী অহংকার
দর্পনে বিম্বিত কেশরী হুংকার!
স্রোতস্বিনী তটিণী-র তীরে উন্মত্ত উর্মিমালা
প্রাপ্তিতে প্রাঞ্জল ভালোবাসার মালা!
তুমি ছিলে ছুটন্ত হরিণী কেওড়া বনে
দিশাহীন প্লাবনে জলোচ্ছ্বাস দিলে এনে ম-ম মনে!
জানো? গোপনে অজ্ঞাতে বেহাস ভালোবাসার সে গভীরতা
অধীর উদীপ্ত ভাবাবিষ্ট মনের অযুত-নিযুত কত কথা!
ক্ষেতের ফসল জন্ম দেয় যত অগুনিত শস্য দানা
মনের প্রকোষ্ঠে আকুলি বিকুলি ব্যগ্রতা তত আনা!
সহে না অনন্ত শাশ্বত অবিরাম ম্যারাথন অপেক্ষা
ব্যক্তিত্বময়ী প্রেম যায়না শত চেষ্টায় করা রক্ষা!
স্বপ্নের সিড়িতে বসে কাব্যিক পরকিয়া নয় হে নারী
হৃদয় অলিন্দে তোমায় এঁকেছি, বারবনিতা বা পরো বধূ বলে কি অস্বীকার করতে পারি?
আমি তো প্রেমময় হয়েছি কুমারীত্ব মেডিকেল পরীক্ষা নিয়ে নয়
আমি তো প্রেমের বীজ বুনেছি দোয়াশ কি বালু, এসব মানব জীবনে মিথ্যে অভিনয়!
তবে সব মেনে বলি, মাথা রেখে অন্যের বুকে, আমাকে রাখবে সুখে
একইসাথে দনু নৌকায় পা রাখবে কেন, কোন দুঃখে ?
নির্ঘুম দাবদাহে কাটে অব্যক্ত যন্ত্রণা নিয়ে অগুনতি রাত
খুঁজি নি কুমারী কি গৃহবধূ, স্বপ্ন একে দিয়েছিলে বকুল তলায় ধরে মোর হাত!